শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে কমিটি করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা


শ্রম সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন৷ সুপারিশ বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন ডিসেম্বরের মধ্যে কি সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারে, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা তো বসে থাকব না৷ আগামীকাল থেকেই কাজ শুরু করব৷ আমরা যদি ডিসেম্বরকে ধরে এগোই, তাহলে তো নভেম্বর থেকে শুরু করা হবে৷ যেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে৷”
তিনি বলেন, “শ্রম মন্ত্রণালয়ে আমরা একটা ইন্টারনাল কমিটি করব৷ এই কমিটি সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করবে৷ আমাদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে যতটুকু বাস্তবায়ন করা যায়, তার সবই করা হবে৷” প্রধান উপদেষ্টা কী বললেন, তার জন্য অপেক্ষা না করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
শ্রমিকদের মজুরি বোর্ডের প্রয়োজন আছে, জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি শুনেছি, ট্যানারি মালিকরা অনেকের বেতন বাড়িয়েছেন আবার অনেকের বেতন বাড়াননি৷ পুরো বিষয়টা নিয়ে আমরা কাজ করব৷
এ সময় শ্রম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা ছাড়া এ প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব ছিল না৷ বিভিন্ন পেশার মানুষ মিলে আমরা কাজটি করেছি৷ আমরা চেষ্টা করেছি রিপোর্টটি এমনভাবে সাজাতে যেন সংক্ষেপে সবাই বুঝতে পারেন৷ আমরা ফাইলবন্দি কোনো প্রতিবেদন করতে চাই না৷ এটি বাস্তবায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, জানিয়ে তিনি বেলেন, আমরা চাই, শ্রমিক হিসেবে তাদের স্বীকৃতি থাকবে৷ একজন মানুষের মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য যে বেতন প্রয়োজন, তার জন্য পৃথক মজুরি বোর্ড থাকা জরুরি৷