‘যে প্রতি বছর স্বামী বদলাতে পারে, সে দল বদলাবেই’ শ্রাবন্তীকে তুলাধুনা

fec-image

চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। এরপর বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটও পেয়ে যান। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান শ্রাবন্তী। এতে করে তার ভাগ্যে জোটে ‘অসম্মান’। কখনো বিরোধী দল, কখনো বা নিজের দলের কর্মীরা তাকে নিয়ে নানা কটু-মন্তব্য করেন। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায় প্রশ্ন তুলেছিলেন—কেন তাকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হলো। সবকিছু মিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে তখন জল ঘোলা কম হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রাবন্তী। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে বিজেপির হয়ে যত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। দল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার আগেই সেসব ছবিও মুছে ফেলেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে কড়া সমালোচনামূলক কোনো বক্তব্য এখনো দেয়নি বিজেপির নেতৃবৃন্দ। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন—‘শ্রাবন্তী স্বেচ্ছায় এসেছিলেন, আবার স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। তার বিজেপি ত্যাগে দলের কোনো সমস্যা হবে না।’

দল থেকে এখনো কোনো নেতা শ্রাবন্তীর কড়া সমালোচনা না করলেও নেটিজেনরা বসে নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলে তেমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। অভিজিত বিশ্বাস লিখেছেন, ‘সুসময়ে আবার আসবেন, আপনার জন্য একটা টিকিট রেডি থাকবে।’ তাপস নামে একজন তার চারিত্র নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেন, ‘যে বছর বছর স্বামী বদলাতে পারে, সে দল বদলাবে এটেই স্বাভাবিক।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘উফফফ এক অসম্ভব সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন নেত্রী যিনি বিজেপির একমাত্র আশা-ভরসা ছিল তিনি চলে যাচ্ছেন। বিজেপি একদম দিশেহারা হয়ে গেল। মোদিজিও আজকে রিজাইন করবেন। বিজেপির মাথা থেকে ছাতা সরে গেল।’

সাঞ্জু নামে একজন লিখেন, ‘হাহাহা! আপনি বিজেপিতে কবে ছিলেন, আপনি তো কামাতে এসেছিলেন। যাদের চরিত্র ঠিক থাকে না, তাদের মুখে এ কথা মানায় না।’ মহেশ্বর গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘পার্টিটা ধীরে ধীরে শুদ্ধ হচ্ছে, বিদায় হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ পিনাকি চ্যাটার্জি লিখেন, ‘দল পরিবর্তন হলো অধঃপতিত ভারতীয় রাজনীতির একটা বৈশিষ্ট্য। এখানে দেশ অথবা সমাজ গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিজের রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য দল পরিবর্তন এখন যেন একটা খেলা। এই খেলায় সবাই সমান। অজুহাত দেয়া হয়- মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। না জীবনযাত্রায় আছে শৃঙ্খলা, না রাজনৈতিক আদর্শে।’ এমন অসংখ্য মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে বিজেপি ছাড়ার কারণে কেউ কেউ যে আনন্দিত হননি তা-ও নয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন