ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার কক্সবাজারের দুই ব্যবসায়ীর মুক্তি দাবি
ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার কক্সবাজার শহরের আইবিপি সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও সদস্য মোস্তফা মহসিনের মুক্তি দাবি করেছে সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
তারা বলছে, বহুতল ভবন নির্মাণের অজুহাতে ৫০ বছরের অধিক সময়ের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে মিথ্যা ‘চাঁদাবাজি মামলা’ করেছে জমিদার নামধারী চাঁদাবাজ ও নাশকতা মামলার আসামি মোরশেদুল আরেফিন ফরাজি। ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি জানে না। সম্পদের লোভে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট প্রশ্নবোধক। ঘটনার পুনঃতদন্ত চায় সবাই।
এদিকে, ঘটনার প্রসঙ্গে শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিস্তারিত তুলে ধরেন কারারুদ্ধ ব্যবসায়ী নেতা শহীদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া ছেলে শরিফুল ইসলাম রাফি।
তিনি বলেন, ‘আমার পিতা শহীদুল ইসলাম সাজানো মিথ্যা মামলায় বর্তমানে কারাগারে। আমার পিতার মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।’
শরিফুল ইসলাম রাফি বলেন, ‘আইবিপি রোডে দোকান করে আমাদের জীবিকা চলে। একই স্থানে আমার চাচতো ভাই মোস্তফা মহসীন, আবছার, কামাল এবং সাধুন বড়ুয়া নামের আরেক ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর আগে ডা. নুরুল আজিমের নিকট থেকে দোকানগুলো ভাড়া নেন তারা। আমার চাচার মৃত্যুর পর আমার পিতা শহীদুল ইসলাম, চাচতো ভাই মোস্তফা মহসীন ধারাবাহিকভাবে দোকান করে আসছেন। ডা. নুরুল আজিমের মৃত্যুর পর দোকানের ভাড়া নিয়ে আসছেন তাঁর সন্তান মাহবুল আজিম খুলু। কিছু দিন মাহবুল আজিম খুলুর ভাই আনোয়ারুল আজিমও দোকানের ভাড়া আদায় করেন। মধ্যখানে ভাড়া গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করায় ব্যবসায়ীরা আদালতে ভাড়া প্রদান করছেন। মাহবুল আজিম খুলু পিতৃ সম্পদ পাওয়া জন্য আদালতে মামলা করেছেন। যার অপর মামলা নং-২০৪৬/২০২১। এ মামলায় ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত। যা এখনো বলবৎ। ইতোমধ্যে আনোয়ারুল আজিমের ছেলে রিয়াসাত আজিম প্রকাশ মোর্শেদ ফরাজী দোকানদারদের উচ্ছেদ পাঁয়তারা শুরু করে। তার অংশ হিসেবে অতি গোপনে মামলা করেন। সেই মামলার নোটিশ গোপন করে আমার পিতা শহীদুল ইসলাম ও আরেক দোকানদার মোস্তফা মহসিনকে গ্রেফতারপূর্বক জেলে পাঠায়। এর মধ্যে ১৪৪ ধারা অমান্য করে দোকান উচ্ছেদে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে মোর্শেদ ফরাজী। একই সঙ্গে আরো মামলাসহ নানাভাবে আমাদের হয়রানীর হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা আতঙ্কিত। নিরাপত্তা চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, কারান্তরীন শহীদুল ইসলামের বড় ভাই আবদুল গণি, স্ত্রী রোজিনা আকতার, কারান্তরীন মোস্তফা মহসীনের মা রিজিয়া বেগম, ব্যবসায়ী নেতা মো. মিজান, আনোয়ার হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
শহীদুল ইসলাম ও সদস্য মোস্তফা মহসিনের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ফরিদ আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জেবর মুল্লুকসহ কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কখনো চাঁদাবাজির মতো ঘৃণিত কাজ কখনোই করতে পারেনা। তাই মামলাটি পুনরায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় এনে গ্রেফতারকৃত নিরীহ ব্যবসায়ীদেরকে দ্রুত মুক্তি দেয়া হোক।