সংবাদ প্রকাশের পর চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ পেলো ৪ কিলো গ্রামের হামে আক্রান্ত পরিবার


রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সীমান্তের মাঝখানে সীমানা জটিলতায় থাকা ১নং মেরুং ইউনিয়নের ৪ কিলো গ্রামের হামে আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও দিঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বৃহস্পতিবার(২৩ এপ্রিল) সকাল ৯ ঘটিকায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টীম পাঠায় দিঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, মেডিকেল টীমে ছিলেন প্রীতিকুসুম চাকমা- ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, করুনাময় চাকমা- স্বাস্থ্য সহকারী, অরুন জ্যোতি চাকমা- স্বাস্থ্য সহকারী, শান্তি রঞ্জন চাকমা- স্বাস্থ্য সহকারী। সবাই দীঘিনালা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত।
মেডিকেল টীম ৪ কিলো বাঙ্গালী পাড়ায় অসুস্থ্য সকলের খোঁজ খবর নেয় এবং পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে অসুস্থ্য ব্যাক্তিরা পানিবাহিত রোগ জল বসন্ত রোগে আক্রান্ত পরে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে ১৬ জন থেকে বেশী অসুস্থ্য ৪ জনকে যাতায়াত খরচ ৫ শত টাকা দিয়ে নিকটবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এদিকে সকাল ১১ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু ৪ কিলো বাঙ্গালী পাড়া পরিদর্শন করেন এবং আক্রান্ত ৮ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেন।
এছাড়াও আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু কাইয়ুম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার(২২ এপ্রিল) সকালে “সীমানা জটিলতায় চিকিৎসা পাচ্ছেনা ৪ কিলো গ্রামের হামে আক্রান্ত ১০ পরিবার ” শিরোনামে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরেই নরেচরে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু কাইয়ুম বলেন সহসায় এই সীমানার জটিলতা নিরসন করা দরকার, কিছুদিন পূর্বে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৭০ পরিবারকে ৫ কেজি করে চাউল দেয়া হয়েছিলো। সীমানা জটিলতার কারনে গ্রামবাসীরা সরকারী অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হয় যা খুবই দুঃখজনক।