সংসদ নির্বাচনে পাহাড়ে লেভেল প্লেইং ফিল্ড চায় সমঅধিকার আন্দোলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত সংসদ নির্বাচনের স্বার্থে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পার্বত্য জেলা পরিষদকে অবিলম্বে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোড় দাবি জানানো হয়েছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে পার্বত্যবাসীদেরকে নির্ভয়ে, অবাধে স্বাধীন, সুষ্ঠ ও প্রভাবমুক্ত রাখার স্বার্থে এই দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন।

সংগঠনটির দাবি, সন্তুলারমাকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রেখে এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে ক্ষমতাসীন দলীয় চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে রেখে পার্বত্যবাসী জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবার সাহস পাচ্ছে না।

তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রভাব বিস্তার রোধে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন এই দাবি জানিয়েছে।

মঙ্গলবার(৬ নভেম্বর) ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জনাব মনিরুজ্জামান মনির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশপ্রেমিক, ত্যাগী, সাহসী ও নিষ্ঠাবান পাহাড়ে সুপরিচিত ব্যক্তিত্বকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী মনোনয়নের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় লিয়াজো কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাঙামাটির কেন্দ্রীয় নেতা জনাব জাহাঙ্গীর কামাল, হাজী মো. ইউনুস কমিশনার, বান্দরবানে আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান, ওবায়েদুর রহমান, এ এম নাদিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির এবং খাগড়াছড়ি জেলায় সাবেক সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জননেতা আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়াসহ শীর্ষনেতাদের নাম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসন সহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে সমঅধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় লিয়াজো কমিটির কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। তাছাড়া, পাহাড়ে সকল দল ও মতের সমঅধিকার রক্ষার স্বার্থে সন্তুলারমাকে অপসারণ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্বাচন কালে সাময়িকভাবে ক্ষমতাচুত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে। তাছাড়া, জেএসএস ও ইউপিডিএফ নামধারী পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন হত্যা মামলায় সামাজিক বিচারের নামে গ্রেফতার না করায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, সভায় সমঅধিকার আন্দোলনের ৯দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং নির্বাচনের পূর্বে জেএসএস, ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কব্জা থেকে সকল বেআইনী অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারেরও দাবী জানানো হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, বন্দুকযুদ্ধ, আধিপত্যের লড়াই, মুক্তিপণ আদায় বন্ধসহ পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ঐক্য, শান্তি ও সম্প্রীতি জোরদার করার জন্য পার্বত্যবাসী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যারা বিগত তিন যুগে গেরিলা যুদ্ধের নামে পাহাড়ে ৩০ হাজার বাঙালিকে হত্যা করেছে, বহু বাঙালির ঘর বাড়ি জালিয়ে দিয়েছে, দেশের সৈনিক, পুলিশ, আনছার, বিডিআরকে হত্যা করেছে তাদেরকে নির্বাচনে বর্জন করার জন্য পার্বত্যবাসী জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন