সদস্য সংগ্রহ ও মিজোরামের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত জেএসএসের

fec-image

শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নতুন করে সশস্ত্র লড়াই শুরুর উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও মিজোরামের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত ৯ ডিসেম্বর বান্দরবান জেলার থানচিতে অনুষ্ঠিত সংগঠনের এক অতি গোপনীয় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র লড়াই শুরু করার লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে মিজোরামে পাঠানো এবং সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এই সদস্যদের পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন শহরের চাকরির জন্য অবস্থান করছে বলে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে মাধ্যমে জানা যায়, গত ০৯-১২-২০২৪ তারিখে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত থানচি উপজেলার ০৪ নং বলিপাড়া ইউনিয়নের ০৮ ওয়ার্ডের অন্তর্গত ব্রহ্মদত্ত চাকমা পাড়ায় (পিথর খামার) উপজেলা জেএসএস (সন্তু) সশস্ত্র গ্রুপের এক কমান্ডার প্লাটুন চাকমার নেতৃত্বে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে থানচি, রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার সশস্ত্র গ্রুপের প্রধান ও রুমা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা ভারতের মিজোরাম থেকে ভিডিও কলে যুক্ত থাকার পাশাপাশি ৩০-৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন জানা যায়।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার জেএসএস সশস্ত্র গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার, কে এন এফ এর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারানো অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার ও ২০২৫ সালের জন্য সশস্ত্র গ্রুপে অংশগ্রহণের জন্য থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি মাসের ১৫/১২/২০২৪ খ্রিঃ থেকে ১৫/০১/২০২৫ খ্রিঃ পর্যন্ত তিন উপজেলা থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ভারতের মিজোরামে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এছাড়াও, নতুন জেএসএস সদস্যরা যোগদানের বিষয়টি গোপন রাখতে নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে চাকুরীর উদ্দেশ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামে অবস্থান করছে এমন পরিচয় দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জেএসএস, মিজোরাম, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন