parbattanews

সন্তু লারমারা শান্তিতে বিশ্বাস করেন না: পিবিসিপি

শান্তিচুক্তি বা পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর সন্তু লার্মার সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্র জমা দেয়ার নাটক করেছে। আসলে তারা অস্ত্র জমা দেয়নি। গত ১৮ আগস্ট রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর উপর হামলার মধ্যে দিয়ে তারা আবারও প্রমাণ করলো। সন্তু লারমারা শান্তিতে বিশ্বাস করে না।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠিতা ইঞ্জি. আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক ই-মেইলে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

তাই সরকারের উচিত চুক্তি বাতিল করে তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প (২৪০ টি) পুনঃস্থাপন করা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কল্পে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে পার্বত্যাঞ্চলকে সন্ত্রাসী মুক্ত করা। অনির্বাচিত আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের সকল চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে সরিয়ে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সন্তু লার্মা, ব্যারিস্টার দেবাশিষ, ঊষাতন তালুকদার এবং প্রশিত বিকাশ খীসাকে গ্রেফতার করে দেশদ্রোহিতার দায়ে সবোর্চ্চ সাজা নিশ্চিত করা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের স্বার্বভৌত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর উপর হামলার দৃষ্টতা দেখিয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শন করেছে; যা ক্ষমার অযোগ্য। অথচ উপজাতী সন্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটালেও প্রশাসন তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার ফলে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ক্রমাগত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

বৈঠকে অরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুতাহের, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ আহমেদ রাজু, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হামিদ রানা, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব ড. মোকছেদ আলম মঞ্জু, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মো. ওয়ালী উল্যাহ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব, খলিলুর রহমান প্রমুখ।

বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সেনাবাহিনী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করার কথা থাকলেও প্রশাসনের চাপে কর্মসূচি স্থগিত করতে হয়েছে। বৈঠকে সেনাহত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদেরকে ভাবতে হবে, যে সময়ে ভারতের চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে, যে সময়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদেরকে আদিবাসী বানানোর প্রচেষ্টা চলছে, যে সময়ে পাহাড় থেকে বাঙ্গালী ও সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের দাবীতে তথাকথিত সুশীলরা সোচ্চার। সে সময়ে টহলরত সেনাবাহিনীর উপর হামলা, জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়নের চেষ্টা সবই একই সূত্রে গাঁথা। তাই এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

Exit mobile version