parbattanews

সন্ত্রাসী হামলার বড়থলির ২৩ টিরও বেশি পরিবার আতঙ্কে বান্দরবানে আশ্রয় নিয়েছে

সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পাড়ার ২৩টিরও বেশি পরিবার এখন আতঙ্কে পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে পরিবারগুলো বড়থলি সংলগ্ন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় চলে আসে। পরে তারা বান্দরবান সদর রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটি রাজস্থলি এলাকায় বিভিন্ন পাড়ায় আশ‍্রয় নিয়েছে। বড় থলির ইউপি চেয়ারম্যান ও জেএসএস সভাপতি আতোমং মারমা ও বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ‍্যা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন কুকি চিন ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠন পাড়ায় গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর হুমকি দেয়ার পর পরিবারগুলো আতংকে পার্শ্ববর্তী বান্দরবানে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ২১ জুন এক দশ সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাইজাম পাড়ায় হামলা চালালে সেখান ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় ২ শিশু। ওই হামলায় কুকি চীন ফ্রন্ট সংগঠনটি অংশ নিয়েছিল বলে স্থানীয় পাড়াবাসীরা অভিযোগ করেছেন। কুকি চিন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ নিজেরাও ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। তবে তাদের মতে, নিহতরা সকলে জেএসএস সন্ত্রাসী।

এই ঘটনার পর থেকেই সেখানে পাড়ার লোকজনদের মধ্যে আতংক উৎকণ্ঠ দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদের সদস‍্য কাঞ্চন জয় জানান, রোয়াংছড়ির বরতলিতে ২ পরিবার, শঙ্খমনিতে ৬ পরিবার, ফরেস্ট কলোনীতে ৩ পরিবার, রেপোপাড়াতে ২ পরিবার, শামুখ ঝিড়ি পাড়ায় ২ পরিবার, রেইছা সিনিয়র পাড়ার ১ পরিবার সহ বিভিন্ন এলাকার তঞ্চঙ্গ‍্যা পাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

বড়থলির বিলছড়ি পাড়া থেকে পালিয়ে আসা ফুল মালা তঞ্চঙ্গ‍্যা জানান, কুকি চীন ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যরা তাদের পাড়াতে এসে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায়। পরে তারা তঞ্চঙ্গ‍্যাদের এলাকা ছেড়ে তাদের যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। পরে আতঙ্কে তারা বান্দরবান এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান।

এদিকে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন কিছু পরিবার রোয়াংছড়িতে চলে আসার কথা শুনেছি তবে তারা কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও কুকি চিন সংগঠনের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version