parbattanews

সন্ত্রাসী হামলার ৭ দিন পর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পণ্য আমদানি শুরু

images-1-copy

টেকনাফ প্রতিনিধি:

মিয়ানমারে বিজিপি ক্যাম্পে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৭দিন বন্ধ থাকার পর টেকনাফ স্থলবন্দরে আবারও মিয়ানমারের পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।  শনিবার ও রবিবার সকালে মিয়ানমার থেকে শুটকি, আচার ও কম্বল বোঝাই ২টি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।

সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও আশুরা, পূজা ও শুক্রবারসহ তিন দিন বন্ধ ছিল। আর বাকী তিন দিন ধরে কোনো পণ্য বোঝায় ট্রলার টেকনাফ স্থল বন্দরে আসেনি। তবে সর্বশেষ শনিবার ও রোববার দুইটি ট্রলারে মিয়ানমার পণ্য আমদানি শুরু হয়।

সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমারের সশস্ত্র হামলার পর থেকে সে দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ করে পণ্য আমদানি শুরু করা হয়েছে। তবে সে দেশের পরিস্থিতি শান্ত হলে আগের মতো সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের ঘটনার পর রোববার এই প্রথম মিয়ানমারের পণ্যবোঝাই ২টি ট্রলার বন্দরে এসে পৌঁছে। এ সব পণ্যে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স এসএমজি, ট্রেড লিংক মেরিলাইন ও জিন্নাত এন্টারপ্রাইজ কাস্টমস ক্লিয়ারের জন্য আইজিএম প্রদান করেছে। এতে ১৫ টন শুটকি, ৩শ ব্যাগ আচার ও ৬০ ব্যাগ কম্বল রয়েছে। তবে এসব পণ্য থেকে ১৫ লাখ টাকার মত রাজস্ব আদায় হবে।

টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানান, মিয়ানমারের সমস্যার পর কয়েকদিন স্থল বন্দরে পণ্য আমদানি হয়নি। দুইটি ট্রলারে কিছু পণ্য আমদানি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসার গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, গত ৮ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাতে মিয়ানমারে বিজিপি ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সাথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। তবে মিয়ানমার পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করে। অবশেষে শনিবার ও রোববার টেকনাফ স্থল বন্দরে পণ্য আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

Exit mobile version