parbattanews

সন্ধ্যা নামলেই বন্যহাতির আতঙ্ক

ফাইল ছবি

খাবারের সন্ধানে প্রতিদিন রাজস্থলী উপজেলার চন্দ্রঘোনা, রাইখালী, রাজস্থলী সড়কের বিভিন্ন এলাকায় লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্যহাতির পাল।

গত কয়েকদিন ধরে ৭-৮টি গ্রামে হাতির দল একাধিক কৃষকের ক্ষেত-খামারের কয়েক হাজার টাকার সম্পদ সাবাড় করে। জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা বন্যহাতি সাধারণ মানুষকে আক্রমন করছে। সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ডংনালা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির ও ডংনালা এলাকার পল্লী চিকিৎসক তার বাড়ি হতে ফেরার পথে সড়কের পার্শ্ববর্তী জঙ্গল হতে বন্যহাতি নেমে চাথোয়াইপ্রু মারমার পুত্র রেমংপ্রু মারমাকে হামলা করে।

উপজেলার শফিপুর, গাইন্দ্যা, কাঠাল বাগান ও রাইখালী ইউনিয়নে একাধিক গ্রামে বন্যহাতির আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি রাতে গ্রামের কৃষকদের কলা, কচি বাঁশ, বিভিন্ন কৃষি পন্য পায়ে পিষ্ট ও সাবাড় করে ফেলছে। বন্যহাতির দল কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বাড়ি-ঘরে হানা দিচ্ছে এবং মালামাল তননছ করে।

শফিপুর এলাকার মনছুর নামক এক ব্যক্তি জানায়, দলছুট একটি বন্যহাতি সরাসরি মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে। বন জঙ্গলের পাশে অবস্থান নিয়ে রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করছে। গত ১ বছরে কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী এলাকায় বেপরোয়া বন্যহাতির আক্রমনে একাধিক মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছে।

স্থানীয় বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, রিজার্ভ এলাকা কমে যাওয়া এবং পাহাড়ে খাদ্য সংকটের কারণে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্যহাতির দল।

বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা বলেন, গত কয়েকদিনে বন্যহাতির দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলাদি নষ্ট ও সাবাড় করে ফেলছে। রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে। বন্যহাতি লোকালয়ে প্রবেশ করলে যানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করলেও বন বিভাগ কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই সাধারণ মানুষ সম্পদ রক্ষায় বনবিভাগ তথা সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন।

Exit mobile version