সবসময় রাউটার চালু থাকে? জেনে নিন ক্ষতির পরিমাণ

সব সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন ওয়াইফাই রাউটার। তা থেকে তরঙ্গের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে যায় কম্পিউটার বা ফোনে। করোনার সময় থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের প্রচলন অনেকাংশে বেড়ে গেছে। যেসব কাজের বেশিরভাগটাই ইন্টারনেট নির্ভর। ফলে এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই রয়েছে ওয়াইফাই। তা থেকে তরঙ্গের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে যায় কম্পিউটার বা ফোনে। এই ওয়াইফাই তরঙ্গের মধ্যে সারা দিন কাটানোটা আদৌ নিরাপদ কি? অনেকে রাতেও বন্ধ করেন না এই রাউটার। সেটাও কি স্বাস্থ্যকর?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে দু’ধরনের বিকিরণ হয়। ‘আয়নাইজিং’ এবং ‘নন-আয়নাইজিং’। মাইক্রওয়েভের মতো যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় প্রথমটি। আর ওয়াইফাই, ব্লুটুথ যন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয়টি।
দ্বিতীয়টি সে ভাবে শরীরের ক্ষতি করে না বলেই দাবি করে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি সাবধান করা হচ্ছে দ্বিতীয় ধরনের বিকিরণ নিয়ে। বলা হচ্ছে, ওয়াইফাই-এর সিগন্যালের মধ্যে নিরন্তর বাস করলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে শরীরে। মস্তিষ্কের কোষে তার প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি ডিএনএ-র গড়নেও বদল আসতে পারে।
এই তরঙ্গের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে কতগুলি পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল:
ঘুমানোর সময় অবশ্যই ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করে দিন।
যখন ব্যবহার করছেন না তখন ব্লুটুথ স্পিকার বা রাউটার বন্ধ রাখুন।
ইন্টারনেটের প্রয়োজন না থাকলে সেই সময়ে ওয়াইফাই তো বটেই ফোনের ডেটা-ও বন্ধ করে দিন।
যদি সম্ভব হয়, ওয়াইফাই ব্যবহার না করে তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করুন।
রাতে ঘুমনোর সময় ওয়াই-ওয়াই বন্ধ করুন। এ ছাড়া ডিনারের পর যতটা সম্ভব কম মোবাইল ব্যবহার করুন। আরও শারীরিক পরিশ্রম করার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন কাজের পরে আর ল্যাপটপ নিয়ে না-বসার।