সমতলে পরিবহনের অনুমতি না মেলায় দীঘিনালায় দেড় লক্ষ বাঁশ নদীতে

fec-image

দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় মাইনী নদীতে পড়ে আছে দেড় লক্ষাধিক বাঁশ। এই বিপুল পরিমাণ বাঁশ রাজস্ব পরিশোধ করার পরও পরিবহন অনুমতি না পাওয়ায় রোদ এবং বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে।অন্যদিকে ভারী বর্ষণের পর পাহাড়ি ঢলে ভেসে যেতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন বাঁশ ব্যবসায়ীরা!

সরেজমিনে ঘুরে দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকায় বাশের ঘাট ঘুরে দেখা যায়, নদীর দুই পাড়ে বিপুল পরিমাণের বাশ সাড়ি সাড়ি করে বাধা আছে। বাশ পরিবহনের অনুমতি (টিপি)শেষ হওয়ার কারণে রাজস্ব পরিশোধ করা বাশ পরিবহন করতে পারছেন না।| যার আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে এক কোটি টাকার মত।

এদিকে নদীর দুই তীরে বাধা বাঁশগুলি একদিকে রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে ভেসে যেতে পারে পারে বলে বলে !!

এব্যাপারে বাশ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর জুন, জুলাই, আগস্ট মাস বাশের বংশ বিস্তারের মাস। এসময় বাঁশ কাটা পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকে কিন্তু আমাদের বাঁশগুলি ৩১ মে এর আগে কাটা এবং রাজস্ব পরিশোধ করা| তাই বাশ পরিবহনের অনুমতি প্রদান করা না হলে আমাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে।

বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অরুন বিকাশ চাকমা জানান, মাইনী নদীতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক বাশ রয়েছে| যা ৩১ মে এর আগে কর্তনকৃত। তাই অন্যান্য বছরের মতো কর্তনকৃত বাঁশ পরিবহনের সুযোগ দেয়া না হলে এখানকার হাজার হাজার পাহাড়ী বাঙ্গালী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এব্যাপারে নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম রসুল এর মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম, বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, সমতলে বাশ পরিবহনের জন্যে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: দীঘিনালা, বাঁশ, সমতল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন