parbattanews

সমুদ্রে উত্তাল টেউয়ের ছন্দে ভালোসার ঢেউ

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পর্যটন শহর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ভালোবাসার টেউ লেগেছে। সমুদ্রের উত্তাল টেউয়ের ছন্দে ছন্দে মিতালি করে বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দেখা মিলে বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে সাপ্তাহিক ছুটি না থাকলেও বিপুল সংখ্যক পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয়দের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে সমুদ্র সৈকত ও সেন্টমার্টিন। যুগলবন্দি হয়ে কাউকে সমুদ্র স্নান, কেউকে বালিতে, আবার অনেকে পদচারী করে সমুদ্র সৈকতের পরিবেশকে ভালোবাসাময় করে তুলেছেন।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় রয়েছে। কক্সবাজারের সবক’টি আবাসিক হোটেল মোটেলের কক্ষ বুকিং রয়েছে। আবার অনেকেই আসেন যারা কক্ষ পাচ্ছেন না। অনুমানিক লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন দ্বীপেও পর্যটকের ঢল নেমেছে বলে জানিয়েছেন।

সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা মিলে বিপুল সংখ্যক মানুষের। প্রায় সব যুগলবন্দি হয়ে সৈকতের পরিবেশকে ভিন্ন আমেজে তৈরি করেছে। আবার তাদের অনেকের কথা রয়েছে ভালোবাসা প্রকাশের নানা মাধ্যম। কারো হাতে ফুল, কারো হাতে বেলুনসহ নানাভাবে তারা প্রকাশ করছেন প্রেমের কথা।

সৈকতে আবু সুফিয়ান-দিলুয়ারা নামের এক যুগল জানান, তারা বিয়ে করেছেন ১৫ বছর আগে। ভালোবাসার দিন স্মরণে রাখতে কক্সবাজারে ভ্রমণ, সমুদ্রের ছন্দের সঙ্গে মিতালি করে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ভালোবাসার দিন কাটতে ছুটে আসে পর্যটন নগরীতে। ভালোবাসা দিবসটিকে ঘিরে উপভোগ করে মনের প্রশান্তি ফিরে আনতে চান পুরান ঢাকার শিক্ষিকা রেশমি-মাহমুদ দম্পতি।

সেন্টমার্টিন হোটেল সী-প্রবাল রিসোর্টের পরিচালক আবদুল মালেক জানিয়েছেন, বিশ^ ভালোবাসা দিবসে বাড়তি পর্যটক সেন্টমার্টিনে এসেছেন। বিশেষ করে যুবক-যুবতীর জুটি বেশী লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টেকনাফের দমদমিয়া জেঠিঘাটে দিয়ে পর্যটকবাহী ৬/৭ টি জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, আটলান্টিক, বে ক্রুস ও এলসিটি কাজল, ফারহান করে বিপুল সংখ্যক পর্যটক প্রবাল দ্বীপে গিয়ে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব খাঁন জানান, ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল নেমেছে। এ দ্বীপে ছোট বড় সব আবাসিক হোটেল ও কটেজ এরই মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। কক্সবাজারের ছোট-বড়-মাঝারি সব হোটেল-মোটেল, কটেজ, রেস্টহাউস ও গেস্ট হাউসগুলো আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। অনেক হোটেল-মোটেল আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পর্যন্তও বুকিং হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version