সমুদ্রে ভেসে আসা মৃত দুই তিমির কঙ্কাল নিয়ে গবেষণা করবে শিক্ষার্থীরা

fec-image

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা সেই দুটি তিমির কঙ্কাল সংরক্ষণ করা হচ্ছে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিমির উপর গবেষণা কাজ চালাতে এবং পর্যবেক্ষণের জন্যই এগুলো সাফারি পার্কের মিউজিয়ামে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, পুতে ফেলা তিমির মাংসপেশি আলাদা হয়ে গেলে আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে দুই তিমির কঙ্কাল মাটি থেকে উত্তোলন করা হবে। এরপর এগুলো ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সংরক্ষণ করা হবে। অবশ্য সাগর তীরে ভেসে আসার পর দুইটি তিমির শরীর পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল। এ কারণে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি পরবর্তী তাৎক্ষনিক মৃত দুইটি তিমিকে বালিয়াড়িতেই মাটি চাপা দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে সৈকতে ভেসে আসা দুই তিমির মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি মহিলা তিমি ছিল। তাদের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে একটি তিমি দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যু ঘটেছে। আর একটি সঙ্গির মৃত্যুশোকে আত্মহত্যা করেছে।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুইটি তিমির কঙ্কাল সাফারি পার্কের মিউজিয়ামে সংরক্ষন করা হলে দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। কঙ্কাল থেকে শিক্ষার্থীরা গবেষনার সুযোগ পাবে। এছাড়াও আমাদের পার্কের মিউজিয়ামে আগে থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর কঙ্কাল ও শারীরিক কাঠামো সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে দর্শনার্থী ছাড়াও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপকারে আসছে।

প্রসঙ্গত: গত ৯ ও ১০ এপ্রিল কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায় দুটি তিমির মৃতদেহ। এই দুটি প্রাণী ছিল ‘ব্রাইডস হুয়েল’ অথবা ‘বলিন’ প্রজাতির। এদের ওজন ছিল ১০ ও ১২ টন। লম্বায় ৪২ ও ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে ছিল ২৪ ও ২৫ ফুট। তিমি দুটির বয়স আনুমানিক ১৫-২০ বছর বলে ধারণা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি পরবর্তী মৃত দুইটি তিমিকে বালিয়াড়িতেই মাটি চাপা দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গবেষণা, তিমির কঙ্কাল, শিক্ষার্থী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন