সম্প্রীতির মাধ্যমে সহিংসতা রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে: ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ
অশান্তি নয় সকল ধর্মের মানুষের মাঝে মৈত্রী ভাবনা জাগ্রত হবে এমন কামনায় উখিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৪ নভেম্বর ) উখিয়া কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহারের কমিটির আয়োজনে সকাল থেকে শুরু হয় দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পুণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা বিহারে সমবেত হয়।
সকালে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, পানীয় দান, কল্পতরু দানসহ সকল দানীয় বস্তু দান করেন।
এ সময় জগতের সব প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে বিহারে আসা পূন্যার্থীর উদ্দেশে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন ধর্মীয় গুরুরা।
মহতী দানানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতি সভাপতি ভদন্ত এস. ধর্মপাল মহাথেরো। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
সভায় সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, আর্শীবাদক ভদন্ত বিমল জ্যোতি মহাথেরো, প্রধান সদ্ধর্ম দেশক ভদন্ত জিনপাল মহাথেরা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন।এসময় উখিয়া, টেকনাফ, রামু, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উখিয়া কেন্দ্রীয় আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ আশিন প্রজ্ঞাবোধি মহাথেরো, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্লাবন বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আন্তর্জাতিক থেরবাদ বুদ্ধিষ্ট মিশনারি বিশ্ববিদ্যালয় মিয়ানমারের অধ্যায়রত ভিক্ষু ভদ্দীয় বোধি।
সভায় প্রধান অতিথি বক্ত্যেবে ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রত্যেককে সহনশীল হতে হবে। অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সম্প্রীতির মাধ্যমে সহিংসতা রোধে আমাদেরকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যেটি আমরা প্রতিটি বাঙালি এখনো লালন করি, যার প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটি যেন সকল জায়গায় বাস্তবায়িত হয় আমাদের কথায় এবং কাজে কর্মে।
কঠিন চীবর দানের মাধ্যমে ‘মুক্তির অহিংসা বাণী ছড়িয়ে যাক মানুষে মানুষে এবং সামনের দিনগুলোতে শান্তি ফিরে আসুক ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এমন প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ভিক্ষু সংঘের হাতে চীবর উৎসর্গ করা হয়।