parbattanews

থানচিতে বন বিভাগের গাছ কেটে ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে

image 022 copy

থানচি প্রতিনিধি:

বন বিভাগের সংরক্ষিত সেগুন বাগানে প্রকাশে দিনের বেলা মূল্যবান সেগুন গাছ কেটে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ট্রাক ভর্তি করে অবাধে নিয়ে থানছি হেডম্যান পাড়া অবস্থিত ইট ভাটায়। সেকদু রেঞ্জে রেঞ্জ কর্মকর্তা তোয়ারদি হোসেন সরাসরি জড়িত বলে পাচারকারী ট্রাক ড্রাইভার রুবেল জানিয়েছেন। এদিকে ইট ভাটায় পৌছনো মাত্রই তা বৈধ করার দায়িত্ব থানছি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর আহম্মদ বলে জানিয়েছেন ইট ভাটায় ম্যানেজার সরোওয়ার হোসেন।

ইট ভাটায় ম্যানেজার সরোওয়ার হোসেন এলাকার লোকদেরকে বলেন, আমাদের ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো বৈধ। প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল নেতা আমাদের হাতের মুঠোয়। আমাদের ইট ভাটায় মালিক একজন প্রভাবশালী নেতা। কেউ কিছু করতে পারবে না বলে সবাইকে জানায় হোসেন।

জানা যায়, ১৯৮০ থেকে ৮১ সালে তৎকালীন সরকার সেকদু ও মিবক্ষ্যা রেঞ্জে অধীনের বলিপাড়ায় ভরট পাড়ায় এলাকায় প্রায় ২০ একর মেনরোয়া পাড়া থেকে সখয় কমন্ডার পাড়ায় প্রায় ২৫ একর কমলা বাগান হয়ে ডাকছৈ পাড়া পর্যন্ত ৩০ একর জমিতে সেগুন গাছ রোপন করেন। মিবক্ষ্যা রেঞ্জের অধীনের তংক্ষ্যং পাড়া ও মিট পয়েন্ট পাড়ায় প্রায় ৫০ একরে একইভাবে সেগুন গাছ রোপন করেন। বর্তমানে সবগুলো বিক্রয় করার উপযোগী হয়েছে। সরকারিভাবে বিক্রি বা নিলামে ডাক দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

গত সোমবার একটি ট্রাক লট নং ১৭০ আর কক্সবাজার ম -০৭০০০১ প্রতিটিতে ৭ থেকে ৮জন শ্রমিক নিয়ে মেনরোয়া পাড়া পানির টাংকি পার্শ্ববর্তীতে ড্রাইভার রুবেল নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮জন শ্রমিক অবাধে গাছ কেটে ট্রাকে তুলতে দেখা যায়।

জিজ্ঞাসা করা হলে জহির নামে একজন বলেন, আমাকে সূজন কোম্পানি ছোট ভাই মেহেদি পাঠিয়েছেন। আমি জানি না এই জায়গাটি সরকারি কী না। তারা বলে, আমরা ৩ মাসব্যাপী এখান থেকে ট্রাকে করে গাছ নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন আমাদেরকে ৫ ট্রিপ করে টানতে হয়। আর এগুলো হেডম্যান পাড়া ইট ভাটায় নিয়ে যাই।

থানছি হেডম্যান পাড়ায় পূর্বে ৫০গজ, হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উত্তরে ২০গজ, হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহারে থেকে ৩০গজের দূরত্বে ইটভাটাটি অবস্থিত। দিন রাত ২৪ ঘন্টায় জেনারেটর ও ইট তৈরীর ইঞ্জিনের শব্দে ও চুল্লির ধোয়ার কারণে অনেকে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাম ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক বলেন, আমাদের পাড়ায় সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরী ।

এই বিষয়ের সেকদু রেঞ্জে কর্মকর্তা কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে গেলে কর্মচারী কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত বলে কার্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইলে রেঞ্জ কর্মকর্তা তোয়ারদি হোসেন বলেন, আমার রেঞ্জে অল্প বাগান রয়েছে। তাও দুর্বৃত্তরা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। মালিকানা বাগান থেকে বিক্রি করলে আমার জানা নেই বলে তিনি জানান।

এই বিষয়ে জেলা ডিএফও কাজি কামালের সাথে মোবাইলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে সূজন কোম্পানি ব্যক্তিগত মুঠো ফোন নম্বার যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version