সরকার আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় না আসলে, জয়বাংলা স্লোগানধারীরা বাঁচবেনা


যথাযোগ্য মর্যাদায় পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৮টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়, ৮টা ১০মিনিটে চার নেতার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল সাড়ে ৮টায় দোয়া মাহফিল শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা আব্দুর রাজ্জাক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সাহাদাত হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তমলিম উদ্দিন রুবেল, পৌর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি বাবুল চন্দ্র বনিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক দেরলায়ায়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ) রাকিবুল হাসান, আওয়মী লীগ সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য রিনঞ্জয় ত্রিপুরা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,শোষণ, নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলাদেশকে নস্যাৎ করার লক্ষে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি, দেশকে নেতৃত্বশুন্য করার লক্ষে জাতীয় চার নেতা (মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান) কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়। ২১ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধারে এরশাদ সরকারের পতন ঘটানো হয়। আমাদের আভ্যন্তরীণ মান-অভিমান ভুলে গিয়ে দলীয় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে তা হলে যারা জয়বাংলা স্লোগান দিয়েছে তারা বেঁচে থাকতে পারবেনা।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচরকে হত্যা করে দেশকে নেতৃত্ব শুন্য করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি । জেলাখানা নিরাপদ জায়গা, সেখানে বুলেটের আঘাত ও ব্লেড দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছে জাতীয় চার নেতাকে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ অসম্প্রদায়িক একটি স্বাধীন দেশ। ষড়যন্ত্রকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে আবার পাকিস্তান কায়েম করতে চেয়েছে। তাই চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করেছে।
এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন লিটনসহ উপজেলা, পৌর ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।