সহিংসতা বন্ধে জনদাবি মেনে নিতে বললেন এমকে আনোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে সংহিসতা বন্ধে জনগণের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি  আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

আটক বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

সম্প্রতি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সারা দেশে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে দাবি করে এমকে আনোয়ার অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেত্ত নিহতদের পরিবারের প্রতি তিনি কোনো সমবেদনা জানাননি।

তিনি বলেন, ‘অথচ যারা আল্লাহ ও রাসুলকে (স.) নিয়ে কটূক্তি করেছেন, সেই ব্লগার রাজিবের বাসায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানালেন। শুধু তাই নয়, তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বললেন।’

‘সরকার সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করছে’ এমন মন্তব্য করে এমকে আনোয়ার বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর প্রধানমন্ত্রী সাক্ষ্য দিলেন, আবুল হোসেন একজন সৎ মানুষ। আর দুদক বললো, এ প্রকল্পে তারা দুর্নীতির কোনো চিহ্ন পায়নি।’

তিনি বলেন, অথচ সবশেষ এ  প্রকল্পের দুর্নীতিতে কে কত টাকা পেয়েছে বিশ্ব ব্যাংক প্রমাণ করে তা দেখিয়ে  দিয়েছে। তাহলে কেন এদের বিরুদ্ধে মামলা হলো না, জনগণ তা জানতে চায়।

বিএনপির এই জেষ্ঠ্য নেতা অভিযোগ করে বলেন, কান টানলে মাথা আসবে এই কারণে বিদেশে অবস্থানরত বাবুলদের বাঁচানোর জন্য সরকারের পরামর্শে দুদক মামলা করেনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে এখন গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, গোলটেবিল আলোচনা নিত্যদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। তাই শুধু বক্তব্য নয়, দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত করতে হবে।’

মানববন্ধনের সমন্বয়কারী হাজী আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-শিক্ষা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন