parbattanews

সাংবাদিককে চিঠি ইস্যুকারী কর্মকর্তাকে দুদকের শোকজ

আপত্তিকর ভাষায় চিঠি ইস্যুকারী সেই কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য শোকজ (কারণ দর্শানো) নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৬ জুন) সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশের পর দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তবে কতদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে তা তিনি নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে দু’জন সাংবাদিককে ডাকা হয়েছিল। তাদের কাছে পাঠানো চিঠির ভাষা দুরকম হয়েছে। এ বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। কমিশন অবগত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাক্ষীদের জন্য চিঠির যে ফরম্যাট সেই ফরম্যাটেই চিঠি পাঠানো হয়েছে দু’জন সাংবাদিককে।’

এর আগে বুধবার সকালে ধানমন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি তদন্ত কর্মকর্তারা নোটিশে ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে আপনারা আমাদের কাছে ক্লেম করতে পারেন। যেটা আমি জানি, চিঠির একটা ফরম্যাট থাকে সেই ফরম্যাটে যদি চিঠি না দিয়ে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনও মামলায় সহযোগিতা করা আপনাদের দায়িত্ব। কমিশন কখনও নোটিশ ইস্যু করে না। তদন্ত কর্মকর্তারা তা করে থাকেন। তারা যদি কোনও ভুল করে তাহলে হয় কোর্টে যাবেন, নয়তো কমিশনকে জানাবেন।’

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন ‘লন্ডন প্রবাসী দয়াছের অডিও সংলাপে দুদকের ওরা কারা?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত হয়। এ রিপোর্টের ব্যাপারে বক্তব্য দিতে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি দীপু সারোয়ারকে ডেকেছে দুদক। ২৬ জুন দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আপনার (দীপু সারোয়ার) সাক্ষ্যগ্রহণ ও শ্রবণ একান্ত প্রয়োজন।

নোটিশের শেষ অংশে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৬/০৬/২০১৯ খ্রি: তারিখ ১০.৩০ ঘটিকায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে।’

Exit mobile version