সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমেই আমি এই পর্যায়ের নেতা হয়েছি : সাবেক মন্ত্রী দুলু

fec-image

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, নিজের শরীরের রক্ত দিয়েও সাংবাদিকদের ঋণ আমি পরিশোধ করতে পারবো না। কারণ এই সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমেই একজন জেলা পর্যায়ের ছাত্রনেতা থেকে আমি এমপি, মন্ত্রী ও বিএনপির এই পর্যায়ের নেতা হয়েছি। তাই আমি সারাজীবন সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোন নেতাকর্মী সাংবাদিকদের কর্মকান্ডে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের কলম চালাতে পারবেন। ঐতিহ্যবাহী নাটোর প্রেসক্লাবের চার যুগ পূর্তি উৎসব নাটোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাসস প্রতিনিধি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি মো. শহীদুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ,

পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসিম উদ্দিন নাসিম, দত্তপাড়া মডেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আসাদ বিন আবু সাঈদ,

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শেখ ওবায়দুল্লাহ মীম, নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যমুনা টিভির নাজমুল হাসান, ক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম মনজুর-উল হাসান ও রনেন রায়, স্থানীয় দৈনিক জনদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবিএম মোস্তফা খোকন, ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসিম উদ্দিন নাসিম, ইউনিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, এটিএন বাংলার জুলফিকার হায়দার জোসেফ, এনটিভির হালিম খান প্রমুখ।

এর আগে প্রেসক্লাব চত্বরে বেলুন উড়িয়ে অতিথিরা উৎসবের সূচনা করেন এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিরা ৪৮ পাউন্ড কেক কেটে ক্লাবের ৪৮বছর পূর্তি উৎযাপন করেন।

সাবেক মন্ত্রী দুলু আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নাটোর প্রেসক্লাব নির্মাণে অর্থসহ জায়গার বন্দোবস্তো করে দেন। ঐতিহ্যবাহী নাটোর প্রেসক্লাব সূবর্ণ জয়ন্তির পথ পরিক্রমায় রয়েছে। আগামীতে নাটোর প্রেসক্লাবের অবস্থান আরো সুসংহত হবে। আমরা সবসময় গণমাধ্যম কর্মীদের বিপদে-আপদে তাদের সাথে থাকতে চাই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন