parbattanews

সাংসদ নুসরাতের বিয়ে ইস্তান্বুলে

ফাইল ছবি

 

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দীকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৯ ভোটে হারিয়ে বসিরহাটের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত জাহান। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পা রাখলেন রাজনীতির আঙিনাতেও। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর যে যাই বলুক না কেন, তিনি যে জিতবেন এ ব্যাপারে একরকম নিশ্চিত ছিলেন। চূড়ান্ত ফলাফলও তাই হল। ভোটে জিতে ধন্যবাদ দিলেন বসিরহাটের মানুষদের।

সোমবার নুসরাত প্রথমবারের মতো সংসদে গিয়েছিলেন। তবে তার আগে যান আজমীর শরীফের দরগায়। দরগা থেকে আর্শীবাদ নিয়ে সোজা দিল্লি। আগামী জুনেই যে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে তার বিয়ে। কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পপতিদের মধ্যে একজন হলেন নিখিল। কর্মসূত্রেই পরিচয় হয়েছিল নুসরাত ও নিখিলের। ভোটে জিতেই নতুন প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের ঘোষণা দেন নায়িকা। তবে তাদের বিয়ে কলকাতায় বা ভারতের অন্য কোনো শহরে হবে না।

নুসরাতের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দুদিন আগে জানিয়েছিল, তাদের বিয়ের আসর বসবে বাইরের কোনো দেশে। অবশেষে জানা গেল সেই দেশের নাম। ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়ার খবর বলছে, নুসরাত ও নিখিলের পরিবারের তরফ থেকে তুরস্কের প্রধান শহর ইস্তান্বুলে একটি পাঁচতারকা হোটেল তিন দিনের জন্য বুকিং করা হয়েছে। জুনের মাঝামাঝি এই হোটেলেই বসবে বিয়ের আসর।

নুসরাত এতদিন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা নিয়ে তুমুল ব্যস্ত ছিলেন। দম ফেলারও সময় ছিল না তার। ভোটে জেতার পর সেই ব্যস্ততা কিছুটা হলেও কমেছে। বিয়েকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে তাই দুই পরিবারে মেহেদি ও সংগীতের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নাকি আমন্ত্রণ বার্তা পৌঁছে গেছে। তাই বলা যায়, খুব শিগিগির ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন নায়িকা ও সাংসদ নুসরাত জাহান।

এটি হবে অভিনেত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে। পাঁচ বছর আগে তিনি ভিক্টর নামে একজনকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। যাকে তিনি সব সময় সবার কাছে ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতেন। অথচ দীর্ঘদিন ভিক্টরের সঙ্গেই এক ছাদের নিচে থাকতেন তিনি। তাদের সেই গোপন বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিভোর্সের মাধ্যমে। এই ডিভোর্সের জন্য ভিক্টরকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় নুসরাতকে। আদালতের মাধ্যমে সেই টাকা পেয়েছিলেন ভিক্টর।

নুসরাতের বিরুদ্ধে তার সাবেক স্বামী পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। প্রথমে এক প্রযোজকের এবং পরে এক শাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নুসরাত। সেসব মানতে পারছিলেন না ভিক্টর। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। তবে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নুসরাতই নিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে নায়িকার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন ভিক্টর। অবশেষে আদালতের মাধ্যমে সেই টাকা দিয়েই ভিক্টরের কাছ থেকে ডিভোর্স নেন নুসরাত।

Exit mobile version