সাজেকে নাঈম হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ১৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা

fec-image

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের বাঘাইহাট বাজারে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শান্তি পরিবহনের সুপারভাইজার মো. নাঈম (৩২)। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নেতা অক্ষয় চাকমা ও সচিব চাকমাকে এক ও দুই নম্বর আসামি করে দলের ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে সাজেক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত নাঈমের চাচা মো. বাবুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে সাজেক থানায় তিনি মামলা দায়ের করেন।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এজাহারে বাদী মো. বাবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আঞ্চলিক পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত/মূল) গ্রুপের সন্ত্রাসীরা রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সাজেক থানাধীন বাঘাইহাট বাজার এলাকায় দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে ২টা পর্যন্ত ০১ নম্বর আসামি অক্ষয় চাকমার নির্দেশে বাঘাইহাট বাজারের চারিদিকে ঘেরাও করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণের ফলে হঠাৎ একটি গুলি মো. নাঈমের বুকের বামপাশে এসে লাগতে সে নিহত হয়।

এ বিষয়ে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নেতা এজাহারে এক নম্বর আসামি অক্ষয় চাকমার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাঈম হত্যার সাথে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ কোন ভাবেই জড়িত নয়। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে আমাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাঘাইহাট বাজারে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে এলাকার লোকজনকে হয়রানি করছিলো। তার জন্য জনগণ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করতে গেলে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের কর্মীরা হামলা থেকে বাঁচতে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ওই গুলিতে নাঈম নিহত হয় এবং দুই গ্রামবাসী আহত হয়েছে। আর এই ঘটনায় পুরো বাঘাইহাটবাসী সাক্ষী রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউপিডিএফ, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন