সাজেকে পানির তীব্র সংকট, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

বাংলার দার্জিলিং খ্যাত রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ও আশপাশের এলাকায় চরম পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় পাহাড়ের ঝিরি ঝর্ণা শুকিয়ে যাওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ খাবার পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের আশেপাশের পাহাড়ের গাছপালা প্রাকৃতিক বন কেটে জুম চাষের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আশেপাশের বেশিরভাগ পাহাড়ে আগুন দিয়ে প্রাকৃতিক বন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনের নেতা কাচালং সরকারি কলেজের শিক্ষক আবুল ফজল বলছেন, পাহাড়ে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল এবং বড় বড় মাতৃগাছ গুলো না থাকায় এবং দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু সাজেক নয় পাহাড়ের দুর্গম এলাকার বেশির ভাগ এলাকায় একই চিত্র এবং পানির সংকট দেখা দিয়েছে।সাজেক পানি পরিবহন গাড়ির লাইনম্যান বিনিময় চাকমা বলেন, সাজেকের বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আশপাশের ঝিরি ঝর্ণাগুলো একেবারে শুকিয়ে গেছে, এতে সাজেকের স্থানীয় বাসিন্দা ও কটেজ ব্যবসায়ীরা চরমভাবে পানির সংকটে আছেন।তিনি আরো বলেন, সাজেক ভ্যালি থেকে ২১ কিলোমিটার দূরের মাচালং এলাকার কাচালং নদী থেকে ১ হাজার ৫ শত লিটার পানি ২ হাজার ৩ শত টাকা ভাড়া দিয়ে গাড়ীতে পরিবহন করে আনতে হয়। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে পানির চাহিদা পূরণ করতে হিমসিম খাচ্ছি। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় সাজেকে পানিসংকট আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, সাজেকের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি, ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিকল্প পানির উৎস সন্ধানের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহ: বাঘাইছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন