parbattanews

সাজেক সড়কের দু-পাশের ঝোপঝাড়, ডেকে আনছে দুর্ঘটনা


সাজেক প্রতিনিধি:
মেঘ-পাহাড়ের মিতালি দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন হাজারও পর্যটক আর আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে পৌঁছাতে হয় বাংলার দার্জিলিংখ্যাত সাজেকে। তবে বুকে হিম ধরানো এই পথে নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে সড়কের দু-পাশে থাকা ঝোপঝাড়।

সাজেকের বাঘাইহাট থেকে রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের দুই পাশে ঝোপঝাড়ের কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি সড়কের বাঁক দেখতে সমস্যায় পড়ছেন যানবাহন চালকেরা। এ কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।

বাঘাইহাটের গাড়িচালকেরা জানান, রাস্তার দু-পাশে এমন ঝোপঝার হয়েছে যে বিপরীত দিকে থাকা কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অনেক সময় জিপগাড়ির সাথে মোটরসাইকেল মুখমুখি হয়ে ছোটখাট দূর্ঘর্টনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকি রাস্তা এতোই ঝোপঝাড়ে ঢাকা পরেছে যে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ী ক্রস করতে বিপাকে পরতে হয় চালকদের।

সাজেকে থেকে ফিরে আসা পিকআপ চালক সুমন বলেন, রাস্তার পাশে এতো বেশি ঝোপঝাড় হয়েছে যে গত কয়েকদিন ধরে সাজেকে পর্যটক আনা নেয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা ঝোপঝাড় গাড়ীতে থাকা পর্যটকদের শরীরেও লাগছে এবং তারা হালকা আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে এবং কি সড়কে এমনিতেই অসংখ্য বাঁক রয়েছে। এসব বাঁক ঝোপে ঢাকা পড়ায় চালকেরা দেখতে পান না। অনেক সময় দুটি গাড়ি মুখোমুখি হয়ে যায়। ঝোপ পরিষ্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘাইহাট থেকে রুইলুই সড়কে বেশির ভাগ অংশে ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়েছে। বিশেষ করে নাকশছড়ি, টাইগার টিলা, চাম্পাতলী এবং মাচালং থেকে রুইলুই পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলশন চাকমা বলেন, অতিরক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তার দুইপাশে থাকা ঝোপঝার দ্রুত বেড়ে উঠছে। যারফলে সড়কের দুই পাশ ঝোপঝাড়ে ঢাকা পড়ায় যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। এ কারণে প্রায়সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে গত বছর আগষ্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে বাঘাইহাট জোন থেকে একলক্ষ টাকা সহায়তা নিয়ে ঝোপঝার কাটা হয় এবছরও জুন-জুলাই মাসের দিকে কাটা হলেও মাত্র কয়েক মাসেই ঝোপঝার বেড়ে উঠে।

বাঘাইহাট জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল ইসমাইল হোসেন খাঁ বলেন, সড়কের দুই পাশে ঝোপঝাড় বেড়ে গিয়ে যানচলাচলের অসুবিধা হচ্ছে। এটা আমাদের নজরেও এসেছে। বিষয়টি খাগড়াছড়ি সওজকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত জঙ্গল পরিষ্কার করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে গত জুন-জুলাই  মাসে সাজেক ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যামে জোনের সহায়তায় ঝোপঝাড় কাটা হয়েছিল।

Exit mobile version