parbattanews

সীমান্তে অব্যাহত রয়েছে গোলাগুলি: আগুনে পুড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) এর মধ্যে গোলাগুলি ঘটনার জেরে আগুন পুড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শত শত বসত ঘর।

এছাড়াও সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের সময় সীমান্ত এলাকা হতে লোকজন সরে যাওয়ার জন্য আরএসও বাহিনী তুমব্রু মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছে । এরপর ৭.৩০ মিনিটে বৃষ্টির মত প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ছেড়ে তুমব্রু বাজার এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে আগুনে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করলেও হতাহত ও কী পরিমাণ বসত ঘর পুড়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

এর আগে সকাল থেকে তুমব্রু শূন্যরেখায় আরসা-আরএসও’র মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনায় ২ জন রোহিঙ্গা নিহত এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে ইউএনও বলেন, ‘সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসা-আরএসও’র মধ্যে থেমে গোলাগুলির ঘটনা চলছে। এতে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

‘বিকাল ৪টায় এ ঘটনার জেরে তুমব্রু শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় শত শত বসত ঘর পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’

ইউএনও বলেন, ‌‘ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা শূন্যরেখার ক্যাম্প ছেড়ে তুমব্রু বাজার এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। বিজিবির সদস্যরা তাদের কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব রোহিঙ্গাদের শূন্যরেখায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Exit mobile version