সীমান্তে গোলাবর্ষণ অব্যাহত, বিজিবির টহল জোরদার ও বর্ডার সিল
সময় তখন সকাল ঠিক ৮ টা ৪৯ বাজে। ধ্রুম ধ্রুম করে ৩৪ পিলারের বিপরীতে মিয়ানমারে সীমান্ত চৌকি তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ৩৭ পিলারের কক্কঢইংগ্যা ক্যাম্প থেকে ছোঁড়া হয় ২টি মর্টারশেল । এভাবে বুধবারের প্রথম মর্টারশেলের আওয়াজে চমকে উঠে তুমব্রুবাসী। এরপর বেলা ১টা ৪৮ মিনিটে ও ১টা ৫২ মিনিটে আরো ২টি মর্টারশেল ছুঁড়ে মিয়ানমার বাহিনী। এভাবে তুমব্রু রাইটক্যাম্প থেকে কক্কঢংগ্যা ক্যাম্প পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির আওয়াজে এ সীমান্তের প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশির বসতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একই সাথে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গাও কেঁপে উঠে সে আওয়াজে । আর তাদের শিশুরা দিগ্বিদিক ছুটাছটি করতে দেখা গেছে সে কারণে । এভাবে কথাগুলো অপকটেই কলে যাচ্ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমরু নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গা আবদুল মাজেদ, তুমব্রু কোনার পাড়ার বদিআলম ও বাইশফাঁড়ির শওকত আলী।
তারা আরো বলেন, প্রতিদিন ভোর ৬ টায় সাধারণ মানুষের ঘুম ভাঙতো মর্টারশেলের আওয়াজে। কিন্তু বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌঁনে ৩ ঘন্টা পর মর্টারশেলের আওয়াজে বিশ্বাস ভাঙ্গে তাদের । যে ঘটনা গত দেড় মাস ধরে চলে আসছিল সীমান্তের এ পয়েন্টে।
এদিকে বিজিবিরএকটি সূত্র জানান, গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়ে আসা মর্টারশেলের আঘাতে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গা যুবক ইকবাল নিহত আর ১১ বছরের কিশোরী সাদিয়া মণিসহ বেশ ক’জন আহতের পর সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়। আর সীমান্তে সিল করে দেয়া হয়। যা এখনো বলবৎ রয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি এপারে আতঙ্ক। বুধবার গোলাগুলি হলেও অন্যান্য দিনের চাইতে কম হয়েছে। অন্যান্য দিন গোলার আওয়াজ শুনা যেত কয়েক মিনিট পরপর। বুধবার অনেকক্ষণ পরপর হচ্ছে।