সীমান্তে নতুন করে স্থলমাইন বসিয়েছে মিয়ানমার, বিস্ফোরণে আহত ১

fec-image

সীমান্তে নতুন করে স্থলমাইন বসিয়েছে মিয়ানমার। গত ১৫ দিন ধরে সীমান্তের ৩৫নং পিলার থেকে ৫২নং পিলার পর্যন্ত দীর্ঘ ৬২ কিলোমিটার এলাকায় এ মাইন বসায় তারা ।

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৬নং পিলার সন্নিকটে ১টি স্থল মাইন বিস্ফোরিত হয়। এ বিস্ফোরণে সোনালী (৫৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ী আহত হয়। আহত নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা বাজার এলাকার মৃত কাদির হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহতকে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরিস্থিতি অবনতি হলে চিকিৎসক চট্রগ্রামে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তার বাম পায়ের শোচনীয় অবস্থা ।

আহত সোনালী জানান, তারা ৩ কাঠুরিয়া সেখানে কাঠ কাটতে যায়। সে আহত হলেও বাকিরা সুস্থ আছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, সে গরু ব্যবসায়ী। তারা ৩ জন সীমান্তে গরু আনতে যায়।

বুধবার (৪ নভেম্বর) ১টায় অপর একটি ঘটনা ৪৫ নম্বর পিলার এলাকায় ঘটে। সে দিন সকালে মো. আলম ও জাহাঙ্গির নামে দু’জন কাটুরিয়া পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে যায়। এর পরে মো. আলম আর ফিরে আসেনি। জাহাঙ্গির আলম যায় কক্সবাজারের বঙ্গোসাগরে মাছ ধরতে। মোহাম্মদ আলম জামছড়ি গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় মেম্বার ছাবের আহমদ জানান, জাহাঙ্গির আলম আর মোহাম্মদ আলম সে দিন বনে যায়। কী কারণে তারা বনে গিয়েছিলো এখনো কেউ বলতে পারছে না । ঘটনার দিন দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ি ফিরে আসলেও মো. আলম আর ফিরে আসে নি। লোকজন ধারণা করছেন সে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মারা গেছে। সে সেখানেই পড়ে আছে। তবে মো. আলমের স্ত্রী নূর বাহার তাকে বলেছেন, তার স্বামী তখন থেকে নিখোঁজ। মারা গেছে কি-না কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। তবে বিষয়টি তারা নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সীমান্তের একাধিক বাসিন্দা জানান, গত ১৫ দিনে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত জুড়ে স্থলমাইন বসিয়েছে। তারা আরকান আর্মি ও আরএসইউকে ঠেকাতে এ স্থলমাইন বসিয়েছে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্গন করছে। আর সীমান্তে গরু ব্যবসায়ীরা বাধা না মেনে জিরো পয়েন্টে গেলেই মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হয়। গত সোমবার বিকেলে মাইন বিস্ফোরণে আহত মো. সোনালী তাদেরই একজন।

নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত সোনালী হাসপাতালে। নিখোঁজ মো. আলমের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেন, মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে নিখোঁজ মো. আলমের বিষয়ে খবর নিচ্ছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিস্ফোরণ, মিয়ানমার, সীমান্ত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন