সীমান্তে মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা : আতঙ্কের কথা জানালেন কৃষক!

fec-image

কাঁটাতারের বেড়া ঘেষে আমার জমি৷ উক্ত জমিতে শাক-সবজিসহ নানান ধরনের চাষাবাদ করে ছেলে/মেয়ে,স্ত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকম জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। গত কয়দিন ধরে কাঁটাতারের বেড়ার পাশ দিয়ে অতিরিক্ত মিয়ানমার সেনা সদস্যরা আসা-যাওয়া করার কারণে আমাদের মনে ভয় ঢুকে গেছে। তারপরেও কি করব পেটের কারণে ভয় এবং আতঙ্কের মাঝে কাজ করতে হচ্ছে সীমান্তে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাইশপাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম এভাবে জানালেন সীমান্তের পরিস্থিতি সম্পর্কে। তিনি আরো বলেন, সীমান্তে বেশি উত্তেজনা বিরাজ করলে ঘরের মধ্যে অবস্থান নিই, নয়তো বা গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাই।

এদিকে সরজমিন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে জানা যায়, গত ৪ ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে হঠাৎ করে অতিরিক্ত সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। এতে স্থানীয়দের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-বাইশফাঁড়ি সীমান্ত এলাকাজুড়ে স্থাপন করেছে বাঙ্কার ও নিরাপত্তার নামে অসংখ্য চৌকি। এ নিয়ে স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, সীমান্ত এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, বিজিবি, সীমান্ত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন