‘সুখের নীড়’ পেয়েছে মাটিরাঙার ২৬ পরিবার

fec-image

লাল ইটের পাকা ঘরবাড়ি যাদের কাছে শুধুমাত্র স্বপ্ন ছিল, সেসব পরিবারের সদস্যরাই এখন পাকা ঘরের বাসিন্দা। ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মুজিববষের্র এমন অঙ্গীকার পূরণে ‘সুখের নীড়’ পাকা ঘর পেয়েছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ২৬ ভুমিহীণ ও গৃহহীন পরিবার।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সমগ্র বাংলাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পটি উদ্বোধনের পর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ৭৯টি ঘরের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৬ উপকারভোগী পরিবাররে মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব এর সভাপতিত্বে উপকারভোগী পরিবাররে মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম। এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি চাকমা, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়, ভূমি মন্ত্রনালয়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পে অসহায় পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই মিলেছে পাকা ঘরে। প্রতিটি ঘরে দু’টি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই দেশের ৭০ হাজার পরিবার পাকা বাড়ি পেল। শেখ হাসিনা যা করেছেন তা অতীতে কোন সরকার প্রধান কোন দিন কল্পনাও করেনি। নতুন ঘরে পিছিয়েপড়া মানুষগুলো নতুন করে জীবন শুরু করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমন উদ্যোগকে সরকারের সাহসী পদক্ষেপ উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনি, গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন ছাড়াও উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী, মাটিরাঙা, মুজিববর্ষ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন