parbattanews

কক্সবাজারে সুফলের জীবিকা উন্নয়ন তহবিল বিতরণ

বনভিত্তিক মানুষের জীবন জীবিকায় গতিশীলতা এনে দিয়েছে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প। কমছে দরিদ্রতা। আসছে আত্ননির্ভরতা। সুফলের টাকায় সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণ। বাড়ছে গ্রামীণ উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি। সুফলের সফলতা এখন ঘরে। কর্মহীনদের মুখে ফুটছে হাসি। মূলত জনগণকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী করতে বন বিভাগের এই প্রথম দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উত্তর বন বিভাগের ১০টি রেঞ্জে সুফলের আওতাধীন জমির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর। ইতোমধ্যে ৪ হাজার হেক্টরে বনায়ন সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট জমিতেও বনায়ন প্রক্রিয়াধীন।

তিনি বলেন, সুফলের ৫৭টি গ্রুপ রয়েছে। প্রত্যেক গ্রুপকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। ওই টাকা থেকে সদস্যরা নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীমূলক বিভিন্ন খাতে ব্যয় করবে। ওই টাকা আমাদের আর ফেরত দিতে হবে না। নিজেরাই পরিচালনা করবে সব।

সুফলের নির্ধারিত গ্রুপ বাদে ব্যক্তি পর্যায়ে সুবিধাভোগী রয়েছে ৩৮০০ জন। যাদের প্রতিজন ৪২ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। গত ১৫ মে পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫১ জনের মধ্যে ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করেছে উত্তর বন বিভাগ। এছাড়া কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের খাতে দিয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সাসটেইনেবল ফরেস্ট এন্ড লাইভলিহোড (সুফল) প্রকল্পের অর্থে বনায়নের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ সামাজিক অবকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে। জনগণকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী করতে বন বিভাগের এই প্রথম দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ।

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সুফল প্রকল্পের সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রমের আওতায় অনেক অস্বচ্ছল নারী-পুরুষ আজ এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দিনদিন আত্ননির্ভরশীল হচ্ছে। এই টাকায় শুধু বনায়ন নয়, অনুন্নত এলাকায় সড়ক, কালভার্ট, নলকূপ, সাঁকো, সীমানাপ্রাচীর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ইত্যাদি নির্মিত হচ্ছে। যাতে বাড়ছে সামাজিক সম্প্রীতি-সমৃদ্ধি।

এদিকে, ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা বিটের ভোমরিয়াঘোনা, ধুইল্ল্যাঝিরি, গজালিয়া সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা কমিটির অধীনে গ্রাম উন্নয়ন তহবিল থেকে মিটিং ঘর নির্মিত হয়েছে। ভোমরিয়াঘোনা ফরেস্ট জামে মসজিদ এবং পূর্ণগ্রাম বিটের পূর্ণগ্রাম সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সমাজ উন্নয়ন তহবিলের টাকায় মিটিং ঘর, বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল এসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার।

সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দারা যথেষ্ট উপকৃত হচ্ছে। এজন্য বিশ্ব ব্যাংক, বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে উপকারভোগিরা।

Exit mobile version