parbattanews

সেনাবাহিনীকে ‘যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শি জিনপিং

এশিয়ার সামরিক পরাশক্তি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বলেছেন, চীনের নিরাপত্তা ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে আছে। এমন মন্তব্য করে সেনাদের যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

চীনের সংবাদসংস্থা শিনহুয়া নিউজের বরাতে বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। গত মাসে কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন করে পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হন শি জিনপিং। এর মাধ্যমে আরও পাঁচবছরের জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন শি। প্রেসিডেন্ট ছাড়াও দেশটির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) প্রধানের দায়িত্ব নেন তিনি। সর্বশেষ সম্মেলনে দলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদ বাগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে মাও সে তুংয়ের পর প্রথম নেতা হিসেবে দশ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকছেন ৬৯ বছর বয়সী এই প্রভাবশালী নেতা।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড (সিএমসি)ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমান্ডের যৌথ কার্যক্রম পরিদর্শনে সিএমসি কেন্দ্রে যান পেসিডেন্ট শি। চীনের সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া নিউজ জানিয়েছে, সেখানে পৌঁছানোর পর প্রেসিডেন্টকে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। নতুন করে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণে শি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা আগের শতকে দেখা যায়নি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীনের নিরাপত্তা এখন ক্রমবর্ধমান হুমকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে এবং চীনের সেনাবাহিনীর যে লক্ষ্য সেটি এখনো কঠিনই আছে।

তিনি সেনবাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকতে হবে। সামরিক শক্তি বাড়িয়ে লড়াই করতে হবে এবং জয় পেতে হবে এবং নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।’ এছাড়া সেনাবাহিনীর ওপর পার্টি এবং জনগণের আরোপিত জাতীয় অখণ্ডতা রক্ষা, নিরাপত্তা এবং ক্রমবিকাশমান স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পালনে নির্দেশ দেন তিনি।

অপরদিকে পিপলস লিবারেশন আর্মির কমান্ডারদের উদ্দেশ্যে শি জিনপিং বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে একটি বিশ্বমানের বাহিনীতে পরিণত করতে হবে এবং কমান্ডারদের সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় লক্ষ্য বুঝতে হবে।

শি জিনপিং কমান্ডারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদের যা প্রয়োজন তাই করতে হবে।’

Exit mobile version