parbattanews

বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৫ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

বাঘাইছড়ি

স্টাফ রিপোর্টার

রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বরাদম এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীরা সকলে জেএসএস সংস্কারপন্থী গ্রুপের সদস্য। এসময় একটি সাবমেশিনগান, দুইটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএলআর, একটি আমেরিকান পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। সন্ত্রাসীদের আটকের সময় হাতাহাতি লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর একজন কর্পোরাল মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার বরাদম এলাকায় জেএসএস সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের একটি বড় গ্রুপ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বড় ধরণের অপারেশন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন সেনাবাহিনীর বাঘাইহাটে জোনের কমাণ্ডার লে. কর্নেল হায়দারের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি গ্রুপ শুক্রবার দিনগত রাতে ঘটনাস্থল ঘেরাও করে।

সকালের আলো ফোটার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা যৌথবাহিনীর সদস্য কর্তৃক নিজেদের আটক দেখতে পেয়ে তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হয়। যৌথবাহিনী বাহিনী এসময় ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককালে সেনাবাহিনীর একজন কর্পোরাল মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। আহত কর্পোরালকে হেলিকপ্টারে করে খাগড়াছড়ি সেনা হাসপাতালে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বাড়ির মালিক, নির্দোষ, সন্ত্রাসীরা জোর করে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিতে বাধ্য করেছিল। তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

সূত্র আরো জানিয়েছে, যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি ও সামরিক পোশাক ও সামরিক সরঞ্জাম আটক করেছে। আটক গুলির মধ্যে রয়েছে ১২০ রাউণ্ড রাইফেলের গুলি, ৮৪ রাউণ্ড এসএমজি’র গুলি ১৪৫ রাউণ্ড এসএলআরের গুলি, ৯৪ রাউণ্ড পয়েন্ট টু টু বোর রাইফেলের গুলি, ৭ রাউণ্ড পিস্তলের গুলি। এছাড়াও এসময় বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক ও সামরিক সরঞ্জামাদি আটক করা হয়েছে।

বাঘাইছড়ি জোন কমাণ্ডার লে. ক. হাযদার পার্বত্যনিউজকে বলেন, সন্ত্রাসীরা বরাদম এলাকার বিনয় জ্যোতি চাকমা নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে আশ্রয় আত্মগোপন করেছিল। গুলি বিনিময়ের সময় বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে। কিন্তু সেনাবহিনীর সতর্কগুলি বর্ষণের সাধারণ কোনো নাগরিক হতাহত হয়নি। সন্ত্রাসী দলে মোট ২০ জনের গ্রুপ থাকলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তাদের আটকের জন্য এখনো অপারেশন চলছে।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ফকির পার্বত্যনিউজকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহতদের লাশ এবং আটক গুলি ও সামরিক সরঞ্জামাদি বুঝে নেয়ার জন্য রওনা দিয়েছে।

Exit mobile version