parbattanews

সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও নাগরিক পরিষদের তীব্র নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া,মহাসচিব এড. এয়াকুব আলী চৌধুরী,এবং বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো:সাব্বির আহমেদ ও বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: সারোয়ার জাহান খান এক যৌথ বিবৃতিতে পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে সকল সেনাবাহিনী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হবে বলে রবিবার পার্বত্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক-এর শুভ উদ্বোধন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখ ও,ক্ষোভের সাথে জানাচ্ছি যে রাজধানীতে পার্বত্যবাসীর প্রতীক্ষিত এই পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সেটি পরিকল্পিতভাবে উপজাতিকরণ করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপজাতিয় সরকারী কর্মকর্ত- কর্মচারীগণ বৈষম্যমূলক আচরণ ও দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে! অন্যদিকে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সংবিধান রক্ষা করে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সে সেনাবাহিনী বা সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিলে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি ছাড়া উন্নতি কখনোই হবে ন ‘।

 বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সেনাক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি সহ উপজাতি সন্ত্রাসীরা ৩ গ্রুপে পালাক্রমে অসহনীয় চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে-পার্বত্যবাসী অতিষ্ঠ।সেখানে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করে নিলে, পাহাড়ের সকল মানুষ উপজাতি অস্রধারীদের হাতে জিম্মি হয়ে যাবে ।পাহাড়ে কোন রকম পর্য়টক যেতে সাহস পাবে না ।পাহাড়ে বিভিন্ন অস্রধারী সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে ।

এমনকি বাহিরের শত্রুদের আস্তানায় পরিনত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা দেখা দিবে, তাতে কোন সন্দেহ নাই।এতে করে পাহাড়ের উন্নয়ন ব্যহত হবে।এজন্য প্রধানমন্ত্রীর উক্ত ঘোষনা প্রত্যাহার করার দাবি সহ পার্বত্য এলাকায় প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পূন:স্থাপন এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপজাতি সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বৈষম্যমূলক আচরণ,ও দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড এবং সাম্প্রদায়িক হীন মানসিকতার জন্য তাদেরকে অপসারনের দাবি জানান’ ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অন্যথায় সারা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে । সেই লক্ষ্যে আগামী ১৩/১৪ তারিখ সকল জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা, ১৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী বরবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারক লিপি পেশ এবং সেখান থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের ঘোষনার প্রতিবাদে পরিবর্তে হরতালসহ পরর্বর্তি কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে ।

Exit mobile version