parbattanews

সেন্টমার্টিনে পৌঁছেও ঘুরতে পারেনি ৫ শতাধিক পর্যটক

অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ডুবোচরে আটকা পড়ে পর্যটকবাহী জাহাজ। এতে দ্বীপে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এদিকে বিকালের মধ্যেই সেন্টমার্টিন ছাড়ার সময় পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকায় অন্তত ৫ শতাধিক পর্যটক দ্বীপে পৌঁছেও ভ্রমণ করতে পারেনি সেন্টমার্টিন।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকায় ডুবোচরে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বার আউলিয়া আটকা পড়ার এ ঘটনা ঘটে।

ভূক্তভোগী পর্যটকদের অভিযোগ ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে জাহাজটি ডুবোচরে আটকা পড়েছে। জাহাজটি জেটিঘাট ছাড়ার অনন্ত দেড় ঘন্টা পর যাত্রার মাঝপথে ডুবোচরে আটকা পড়ে। পরে সোয়া ১২টায় জাহাজটি আবারও সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যেই সেন্টমার্টিন ছাড়ার সময় পূর্ব থেকে নির্ধারিত ছিল। এদিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ফিরতি টিকেটের সময় হয়ে যায়। এই জাহাজে ভ্রমণকারী সিংহভাগ যাত্রীর বিকালে ফিরতি টিকেট বুকিং ছিল। অল্প সময়ের জন্য কিছু যাত্রী জাহাজ থেকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অধিকাংশ পর্যটক নামেননি। এতে জাহাজটির ৫ শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন ঘুরে দেখার সাধ পূর্ণ হয়নি। এটি জাহাজ কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে ভুক্তভোগী পর্যটক।

এ বিষয়ে জাহাজ ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটকদের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং ডুবোচরে আটকা পড়ার দাবি সত্য নয়। ইঞ্জিনের যান্ত্রিকত্রুটির কারণে যাত্রার মাঝপথে নদীতে বিরতি নেয়। পরে অন্য একটি ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন শেষে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দ্যেশে ছাড়ে। এতে জাহাজটি নির্দিষ্ট সময়ের অনন্ত দেড় ঘন্টা বিলম্বে দ্বীপটির জেটিঘাটে পৌঁছেছে।পর্যটকদের অনাকাঙ্খিত ভোগান্তির জন্য দু:খপ্রকাশ করেছেন।

Exit mobile version