সেন্টমার্টিনে ভাঙন, তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি


সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশের কিছু অংশ। লোকালয়ে পানি ঢোকার ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দ্বীপের অর্ধশতাধিক পরিবারের মানুষ।
ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় জোয়ারের পানি ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে দ্বীপের চারপাশে। এ ছাড়া ঘাটে নোঙর করা অন্তত পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার জোয়ারের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল। এতে দ্বীপে দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যপণ্যের সংকট।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ ফুট বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপের গলাচিপা, কোনাপাড়া ও দক্ষিণপাড়া তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ির মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
মাছ ধরার পাঁচটি ট্রলার জোয়ারের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।’ রাতের দিকে বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও নিরাপত্তার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘গেল চারদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যপণ্যবাহী ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে যেতে পারেনি।
যার কারণে খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে দ্বীপটি। তবে আশা করি, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। হয়তো দ্রুতই ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিনে পৌঁছাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানি দ্বীপের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধিরা সবাই একযোগে কাজ করছেন।
কোনো সমস্যা হলে লোকজন সরিয়ে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। তবে এখনো লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’