parbattanews

সেন্টমার্টিন দ্বীপে মিয়ানমার নৌবাহিনীকে প্রতিরোধে বাংলাদেশের বিজিবি

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে অবস্থান মজবুত করছে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী – বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। একটি বড় আকারের কনটিনজেন্ট মোতায়েনের পর সেখানে নিয়মিত টহল দেয়া হচ্ছে ও বাঙ্কার নির্মাণের কাজ চলছে।

এতে মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই দ্বীপ থেকে এখন দূরে সরে আছে মিয়ানমার বাহিনী।

এর পাশাপাশি বিজিবি মাদক ও মানব পাচার বন্ধ ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম। বুধবার বঙ্গোপসাগরের একমাত্র কোরাল দ্বীপটি সফরকারী একদল সাংবাদিককে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবি প্রধান বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের বিবেচনায় বাংলাদেশের কাছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সরকার মাদক ও মানব পাচারের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের উপর জোর দিচ্ছে।

বর্তমানে মোতায়েন বিজিবি সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ঠ বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেজর জেনারেল শাফিনুল সরাসরি বিজিবি’র অস্থায়ী বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) পরিদর্শন করেন এবং একটি স্থায়ী বিওপি নির্মাণের জায়গা নির্বাচন করেন।

মিয়ানমার সরকারের কয়েকটি ওয়েবসাইটে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তাদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছিলো। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রতিবাদ জানায় এবং ছয় মাস আগে দ্বীপটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার উদ্যোগ নেয়।

প্রায় ২২ বছর পর, গত ৭ এপ্রিল সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বিজিবি মোতায়েন করে বাংলাদেশ সরকার। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেখানে বিজিবি’র পূর্বসূরি বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে।

দ্বীপটিতে মেশিন গান, মর্টার ও রকেট লাঞ্চার বসানো হয়েছে। বিজিবি’র পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ড দ্বীপটিকে বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে।

সেন্ট মার্টিনের উপজেলা চেয়ারম্যান নূর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েনের পর দ্বীপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে। সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতির কারণে স্থানীয় অধিবাসী ও পর্যটকরা নিরাপদ অনুভব করছে।

সূত্র: সাউথএশিয়ানমটিরডটকম

Exit mobile version