সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে আবারও বিকল এসটি ভাষা শহীদ সালাম
সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে এক মাসের মাথায় আবারও বিকল হয়ে গেছে পর্যটকবাহী জাহাজ এসটি ভাষা শহীদ সালাম। যে কারণে বুধবার (২০ জানুয়ারি) দেড় শতাধিক যাত্রী সেন্টমার্টিন যেতে পারেনি। পরে ভিন্ন জাহাজে করে পর্যটকদের নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তবে, জাহাজটির কর্তৃপক্ষের দাবি ভিন্ন।
পরিচালক জাকির হোসেন রাসেলের নিকট বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এমন কোন ঘটনা হয়নি দাবি করেন।
তিনি বলেন, সকালে জাহাজ ছাড়ার পূর্বে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় সেন্টমার্টিন যায়নি। তবে তা সমাধান হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার যথারীতি জাহাজ চলাচল করবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে শত্রুতামি করছে বলেও দাবি করেন জাকির হোসেন রাসেল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরে এসটি ভাষা শহীদ সালামের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর কয়েক ঘন্টা সাগরে ভাসতে থাকে। এক পর্যায়ে পর্যটকরা ৯৯৯ এ ফোন করে।
তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে জাহাজের পর্যটকদের স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পুনরায় সেন্টমার্টিন ঘাটে নিয়ে যায় পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। কিন্তু ওই সময় আর কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে না থাকায় পর্যটকরা কক্সবাজার ফিরতে পারেনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্যটকদের নিরাপদে সেন্ট মার্টিনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সাধারণ যাত্রীরা জানিয়েছে, জাহাজটিতে দেড়শো ধারণ ক্ষমতার স্থলে প্রায় সময় দুই থেকে তিন শতাধিক যাত্রী বহন করে।
ইতোপূর্বে গত ২৬ নভেম্বর এমভি ফারহান ক্রোজ নামের আরেকটি জাহাজ ডুবোচরে আটকা পড়েছিল। যাত্রী হয়রানির অভিযোগে জাহাজটি চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর থেকে এমভি ফারহান ক্রোজ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সাগর পথে চলাচল করেনি।
এ বিষয়ে এমভি ফারহান ক্রোজের পরিচালক তোফায়েল আহমদের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তিনি এও বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে এমভি ফারহান ক্রোজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে জাহাজটি ঢাকা অবস্থান করছে। পরবর্তী অনুমতি পেলে পুনরায় চলাচল শুরু করবে।
এদিকে, ফিটনেসবিহীন জাহাজগুলোর কারণে মাঝসাগরে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাং শাজাহান আলির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।