সোমবার বান্দরবানে সাড়ম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্যদিবস পালিত হবে: উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘মশা-মাছি দূরে রাখি রোগ বালাই মুক্ত থাকি’। বাংলাদেশে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করে আসছে। এবছর জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বান্দরবান জেলা সদরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। সোমবার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন করবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার, স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রদর্শনী, বাহক-বাহিত রোগ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বাহক-বাহিত রোগ-ব্যাধিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার উপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এনোফিলিস মশাবাহিত ম্যালেরিয়া রোগ বর্তমানে দেশের ১৩টি জেলায় বিরাজ করছে। বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভিবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম। এর মধ্যে তিনটি জেলার মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি অধিক প্রবণ, কক্সবাজার মধ্য প্রবণ এবং বাকি জেলাগুলোতে ম্যালেরিয়া স্বল্প প্রবণ হিসেবে বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, দ্রুত রোগ সনাক্তকরণ, কার্যকর ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা এবং ব্যাপক হারে কীটনাশকযুক্ত মশারী ব্যবহারের ফলে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে। ২০০৮ সালে ৮৩ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী ছিল। ২০১৩ সালে তা ৭০ শতাংশ কমে ২৬ হাজারে এসেছে। দেশে ক্রমবর্ধমান নগরায়নের সাথে এডিস মশার বংশ বিস্তার ও ডেংগু রোগ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণকে স¤পৃক্ত করে এডিস মশার বংশ বিস্তার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কেবল এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বেলে মাছি বাহিত কালাজ্বর একটি মারাত্মক রোগ। দ্রুত রোগ সনাক্তকরণ, কার্যকর ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা ও কীটনাশকের ব্যবহারে বেলে মাছি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশে কালাজ্বর নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ২০১৩ সালে কালাজ্বরের রোগীর সংখ্যা কমে দেড় হাজারে নেমে এসেছে। রোগীর সংখ্যার দিক হতে ৯০ ভাগ কমার পাশাপাশি আক্রান্ত উপজেলার সংখ্যাও ৯০ ভাগ কমেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বক্তব্য দিবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বক্তব্য রাখবেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা.এম ইকবাল আর্সলান, বোমাং সার্কেল চীফ উচ প্রু, জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।