parbattanews

স্কুলগুলোতে এনজিওর প্রভাব; ফলাফল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা

কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেওয়ার পরপরই শুরু হয়েছিল দেশি-বিদেশি শতশত বেসরকারী সংস্থার (এনজিও) আগমন। মানবতার নাম দিয়ে বর্তমানে নিজেরাও হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সঙ্গত কারণেই এদেশে পালিয়ে আশা রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও নানা ধরনের সেবা দিয়ে আসছিলেন এনজিওরা।

সেই সুবাদে স্থানীয় উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে সপ্তাহে এনজিওরা করছে নানান বিষয়ে নানান প্রোগ্রাম। ফলে সেই ক্ষতিকর প্রভাবটি পড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর। স্বাভাবিক পড়ালেখায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অত্র প্রতিষ্ঠান গুলোর ছাত্রছাত্রী। এ নিয়ে অনেক অভিযোগও রয়েছে সহস্রাধিক অভিভাবকদের।

স্থানীয়রা মনে করেন, বিভিন্ন স্কুল-প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহিক এনজিওর এই কর্মকান্ড সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ও অস্বাভাবিক প্রভাব বিস্তার করছে। এমতবস্থায় তাঁদের ফলাফলে আরো বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন। সাম্প্রতিক স্থানীয় কলেজ-মাদ্রাসার ফলাফল নিয়েও এনজিওর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি এনিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।

একাধিক অভিভাবকেরা অভিযোগ করে বলেন, “ইদানীং দেখছি এনজিওর লোকজন দু-এক দিন পরপর স্কুল-প্রতিষ্ঠানে কি না কি বিষয়ে প্রোগ্রাম করছে। এই প্রোগ্রামের নামে আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হচ্ছে এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। ছেলেমেয়েদের এনজিওরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখে। স্কুল ছুটি হয় ২ টায়, কখনো কখনো তাঁদের বাসায় ফিরতে ৪-৫ টা বেজে যায়। আমাদের মনে হয় না এতে করে আমাদের ছেলেমেয়েদের কোনো দিক দিয়ে উন্নতি হচ্ছে।”

স্থানীয় সংগঠন গৌজুঘোনা ছাত্র ও যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওয়াহিদ ওসমান বলেন,”এনজিওরা স্থানীয়দের সেবা নিশ্চয়ই দিতে পারে। তবে স্কুল-প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত না ঘটে। পড়াশোনার ক্ষতি করে প্রোগ্রাম করাটা ইতিবাচক নয়। আশাকরি সেদিকে সংশ্লিষ্টরা লক্ষ্য রাখবেন।”

এ বিষয়ে স্থানীয় পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন,” এনজিওর কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও বিভিন্ন সহযোগিতা কামনা থাকে। তাই বলে সাহায্যের নামে স্কুল-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটা কাম্য নয়। তাঁদের সপ্তাহিক কার্যক্রম কমিয়ে আনতে হবে। কেননা সম্প্রতি ফলাফল নিয়ে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। ভবিষ্যতে আর কেউ চাইবেনা এনজিওর কারণে তাঁদের ছেলেমেয়েদের ফলাফল খারাপ হোক। আশাকরি তাঁরা বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন।”

Exit mobile version