স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হামলা : আহত ৩

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দোকানপাট থেকে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখি হলেও ক্যাম্প প্রশাসন তা কর্ণপাত করেনি।

পরবর্তীতে বেপরোয়া হয়ে উঠে এসব কতিপয় রোহিঙ্গারা। যার ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বালুখালী ময়নারঘোনা ক্যাম্পে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এতে বালুখালী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আবদুল করিমের ছেলে নুরুল হাকিম, হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ, আবদুল কাদেরের ছেলে মো. রফিক আহত হয়৷ শুধু তাই নয়, এসময় রোহিঙ্গারা তাদের কাছ থেকে ৫লাখ ৭৮ হাজার ৪০০টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার জের ধরে ক্যাম্প প্রশাসন তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মো. ইলিয়াছ (২৪)কে আটক করেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বালুখালী ১১নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান, মো. ত্বোহা, মো. ইউনুছ প্রকাশ আবদুল্লাহ, মো. শফিক, ওসমান, সৈয়দ আলম, হোয়াইব, মাজেদ, রফিক, জাকেরসহ ১৫/২০জন সন্ত্রাসী গ্রুপ স্থানীয় লোকদের উপর কথায় কথায় চড়াও হয়ে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে থাকেন। বিষয়টি ক্যাম্প প্রশাসন জানলেও অনেক সময় না জানার ভান করে থাকে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। যার প্রেক্ষিতে সোমবার ঘটনাটি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু হাশেম বলেন, রোহিঙ্গা আমাদের সব কিছু দখল করে নিয়েছে, আমরা ছোটোখাটো কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকি৷ সোমবার অতর্কিত অবস্থায় এসে আমাদের উপর হামলা করে নগদ ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে জানানো হলে একজন আটক করতে সক্ষম হলেও টাকা গুলো এখনো উদ্ধার হয়নি।

স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবু তাহের অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা সহায় সম্পদ সব দিয়েছি বিনিময়ে এখন তাদের হাতে মার খাচ্ছি, এই হলো মানবতার প্রতিদান।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায নিয়োজিত এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার মাজহারুল হক জানান, স্থানীয়দের সাথে মারামারি করার কারণে মো. ইলিয়াছ নামের একজন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার পূর্বক ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের সাজা প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ সুজিত চক্রবর্তীর সাথে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করা হলে সে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আহত, ব্যবসায়ীদের, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন