parbattanews

স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বেগোনা গোমেজ করোনায় আক্রান্ত

এখন পর্যন্ত প্রায় ১১৮ টি দেশ এবং অঞ্চলে আক্রমণ করা করোনাভাইরাস আরো ছড়িয়ে যাচ্ছে হরহামেশ বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলে। এই প্রাণঘাতী করোনা থেকে রেহাই পাননি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ।

স্পেন সরকার শনিবার(১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ করোনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন ।

ওই বিবৃতির বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন মনক্লোয়ায় বেগোনা গোমেজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

এখন পর্যন্ত এই মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্পেনে  বেড়েই চলেছে।  বলা চলে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালির পর স্পেনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করছে।

করোনার বিস্তার রোধ করতে গতকাল শনিবার থেকে গোটা স্পেনে ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ফলে দেশটির চার কোটি ৭০ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত,বিবিসি, রয়টার্স ও আলজাজিরার সূত্রমতে, চীনসহ  এই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ৮৩৫ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৮ জনে।

এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ৭৫ হাজার ৯২২ জন। যার সবচেয় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইতালিতে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের ওই দেশটি যেন এখন মৃত্যু উপত্যকা।  তার একদিন আগে শুক্রবার মারা গেছে আড়াইশ মানুষ, যা একদিনে কোনো দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। ইতালিতে মোট আক্রান্ত রোগী ২১ হাজার ১৫৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৬৬ জন। নতুন রোগী ৩ হাজার ৪৫৭ জন।

সম্প্রতি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানে সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি। ইরানে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৩৯ জন সুস্থ হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে একদিনে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারা দেশে আক্রান্ত ১২ হাজার ৭২৯ জন।

যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১০ জন। ফলে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১-এ পৌঁছাল।

তবে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে।

চীনে একদিনে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২০ জন। তবে চীনের বাইরে বিশ্বের অন্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।

Exit mobile version