স্পেনের শেষ সময়ের গোলে রোনালদোদের বিদায়
বয়সের ছাপটা হয়তো মাঠেও পড়তে শুরু করেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। ক্লাব ফুটবলে এখন নিয়মিত শুরুর একাদশে জায়গা পান না। জাতীয় দলেও যেন খেলছেন নিজের ছায়া হয়ে। আগের ম্যাচে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে জয় পেলেও, শেষ ম্যাচে গিয়ে পর্তুগালকে জেতাতে পারলেন না রোনালদো।
উয়েফা নেশনস লিগের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে অন্তত ড্র করলেই হতো পর্তুগালের। সেই মিশনে বেশ কিছু দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। উল্টো ম্যাচের শেষ দিকে গিয়ে আলভারো মোরাতার গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন।
এই ১-০ গোলের জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও পর্তুগালকে টপকে শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নিয়েছে লা রোজারা। ছয় ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের ফাইনালসে পৌঁছে গেছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে বিদায় নিলো রোনালদোর পর্তুগাল।
পুরো ম্যাচে বল দখলে আধিপত্য ছিল স্পেনের। তবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল স্বাগতিক পর্তুগাল। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে রীতিমতো কোণঠাসাই ছিল অতিথিরা। কিন্তু একের পর এক সুযোগ হাতছাড়ার মিছিলে কাঙ্ক্ষিত গোল পাওয়া হয়নি পর্তুগিজদের।
দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় থাকে পর্তুগালের ব্যর্থতার ধারা। স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমনকে একাধিকবার একা পেয়েও শেষ কাজ করতে পারেননি রোনালদো। তার মতোই হতাশ করেন ডিয়েগো জোতা, ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। এর পেছনে অবশ্য গোলরক্ষক উনাই সিমনের কৃতিত্ব অনেক।
তবু গোল না পেলেও তাতে ক্ষতি ছিল না রোনালদোদের। কেননা ড্র করলেও ফাইনালসে চলে যেত তারা। কিন্তু ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে গিয়ে শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে পর্তুগিজদের স্বপ্নভঙ্গ করে বল জালে জড়িয়ে স্পেনকে ফাইনালসে পৌঁছে দেন আলভারো মোরাতা।