parbattanews

স্বরূপে ফিরেছে পানছড়ির মায়াকানন

পানছড়ি বাজারের বুক চিরে সামনে গেলেই উপজেলা পরিষদ মাঠ। প্রতিদিন বিকেল হলেই বালক-বালিকা ফুটবলারদের পদচারনায় মাঠ থাকে মুখরিত। মাঠের দক্ষিন-পশ্চিম পাশে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ। উত্তর-পশ্চিমে উপজেলা প্রসাশনসহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিসসমূহ। উপজেলা প্রশাসনের সামনে রয়েছে দুটি পুকুর। পুকুরটির পশ্চিম পার্শ্বেই বিনোদন কেন্দ্র মায়াকানন।

সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের হাত ধরেই পানছড়িতে আত্মপ্রকাশ পায় মায়াবিনী ও মায়াকানন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পানীয় জলের সুবিধার্থে পানছড়ি বাজারের মধ্য মনিতে ৩নং পানছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন গড়ে তোলেন মায়াকুঞ্জ।

মায়াকুঞ্জ নামটিও এসেছে ইউএনও আবুল হাসেমের মেমোরি থেকে। কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ প্রায় আঠার মাস ছিল মায়াকাননের নিরবতা। ঘরে বসে বসে কোমলমতিদের আফসস ইস একবার যদি মায়াকাননের দোলনায় চড়ে আসতে পারতাম। অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় স্বরূপে ফিরেছে মায়াকানন।

কোমলমতিরা বিকেলে মায়াকাননের সৌন্দর্য উপভোগে এসে দোলনা চড়ে খুশীতে আত্মহারা। দোলনায় ঝুলছে আর গুন গুন করে গাইছে তাদের প্রিয় গানের কলি। পাশাপাশি চেংগী রিভাও ভিউ ক্যাপে গিয়ে বিভিন্ন জুস ও মজাদার খাবার খেয়ে দিচ্ছে তৃপ্তির ঢেকুর। রিভার ভিউ ক্যাপের অবস্থান একেবারে চেংগী নদীর কুল ঘেঁষে। লাল টিনের ছাউনির ঘরটি চারিদিকে খোলা। সারাক্ষণ দক্ষিনা হাওয়ার সাখে রয়েছে নানান ফলের জুস।

দুপুরের খাবারে রয়েছে চেংগী নদীর তাজা পাঁচ মিশালী মাছ, দেশি মোরগ, সবজি, ডাল, নানান আইটেমের ভত্তা ও সিদ্ধ। বিকেলে চিকেন ফ্রাই, পাস্তা, নুডুলস, ফ্রেন্স ফ্রাই, আলু চপ, ডিম চপ, ফুচকা, চটপটি, হট কফি, কোল্ড কফি ও মাঝে মাঝে কলা পাতায় পরিবেশন করা হয় চেন্নাই বিরিয়ানি।

অভিভাবকের হাত ধরে মায়াকাননে ঘুরতে আসা শিশুদের দাবি ঝুলন্ত ব্রীজ আর একটি রেলগাড়ি থাকলে দারুণ মজা হতো।

৩নং পানছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, মায়াকাননের পানি নিষ্কাশন ও বাগানের কাজটা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে করানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও সৌন্দর্য বর্ধনে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়ানো হবে। মায়াকাননের স্বত্ত্বাধিকারী সফিক, মানিক, আরিফ ও কাউছার জানায়, তারা উপজেলা প্রশাসন থেকে কেন্দ্রটি বাৎসরিক ভাড়া হিসেবে নিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে কিছুটা স্বরূপে ফিরেছে। তবে শিশুদের বিনোদনের সামগ্রীর পর্যাপ্ত অভাব। কিছু বিনোদন সামগ্রী স্থাপন করা হলে মায়াকাননের মায়াতে আরো আকৃষ্ট হতো আগত অতিথীরা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি চায় তারা।

Exit mobile version