parbattanews

সড়কে ভাড়া নৈরাজ্যে জিম্মি লক্ষাধিক যাত্রী

রামু-নাইক্ষ‍্যংছড়ি সড়কে প্রতিদিন কম হলেও প্রায় দু’শ সিএনজি যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত। তারা অধিকাংশই উঠতি বয়সী। শিক্ষা-দীক্ষা আছে অনেকের। অধিকাংশের নেই। তবে এ ছোট গাড়িটিতে তারা যেন এক একজন কাপ্তান। দেশের আইন-কানুন কিছুই মানে না তারা।

সড়কটিতে সংশ্লিষ্টদের তদারকি না থাকায় মনগড়া ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের যেনতেন ব্যবহার করেন অধিকাংশ চালক।

অভিযোগ গুলো যাত্রীদের। তারা আরো বলেন, বিশেষ করে স্টেশনে গাড়ির সংখ্যা কম হলেই মাত্র ১২ কিলোমিটার সড়কে ৫০/৬০ টাকা ভাড়া আদায় করে নেন এসব চালক। প্রশ্ন করলে লাঞ্চনার শিকারে পড়েন।

সড়কে যাতায়াতকারী ব‍্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, সরকার প্রতি কিলোমিটার কত ভাড়া নির্ধারণ করেছেন তিনি জানেন না। কারণ এ বিষয়ে কেউ তাকে জানাতেও পারেন নি। তবে ধারণা করেন প্রতি কিলোমিটারে ১ থেকে ২ টাকা হতে পারেন। নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। আর গর্জনিয়ার দূরত্ব ১১ কি. মি.। কিন্ত তারা ভাড়া বসান নাইক্ষংছড়ি ৪০ টাকা। সন্ধ্যা হলে বা গাড়ির সংখ্যা কমে গেলে মনগড়া ভাড়া নেন উভয় স্টশনে।

নাইক্ষ‍্যংছড়িন উপজেলা সদরে কাঠ ব্যবসায়ী ফোরকান উদ্দীন বলেন, উনি ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে মাঝে-মধ্যে ন’দশটা হয়ে গেলে চালকরা ডাবল ভাড়া দিয়ে সংশ্লিষ্ট গন্তব্য পৌঁছে দেন। তার মতে সড়কে কোন তদারকি বা প্রশাসনিক কোন বাধ্যবাধকতা না থাকায় সিএনজি চালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন ।

এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের অভিমত, এই সড়কে একমাত্র যাতায়াতকারীদের মাধ্যমে সিএনজি হওয়ার ফলে সাধারণত যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছেন গাড়ি চালকেরা, সংশ্লিষ্টরা চাইলে এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেত চলাচলরত ছাত্র-শিক্ষক-নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী,গর্জনিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও সড়কে লক্ষাধিক অন্যান্য যাত্রী সাধারণ।

Exit mobile version