অন্যান্য বছরগুলোতে সারাদেশের মতো করে পাহাড়ী জেলাগুলোতে ভালোবাসা দিবসে থাকে নানা আয়োজন। দিনটিকে সামনে রেখে ফুল দোকানীরাও থাকে ফুরফুরে মেজাজে। তাদের ব্যস্ততার যেন শেষ থাকেনা। কিন্তু এবছর দিনটিকে ঘিরে খুব বেশি ব্যাস্ততা দেখা যাচ্ছেনা। দিবসকে ঘিরে কোথাও কোন হৈ-হুল্লোড়ও নেই। সবমিলিয়ে হরতাল-অবরোধে হতাশ পাহাড়ের ফুল ব্যবসায়ীরা।
ফুল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছর দিনটিকে সামনে রেখে তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ভালোবাসা বিনিময় করতে ফুলের দোকান গুলোতে এসে ভীড় করতো। বেচাকেনাও ছিল আশানুরূপ। কেউ কেউ অনেক বেশি ফুলের আগাম অর্ডারও দিতো। কিন্তু এবার হরতাল-অবরোধে আগাম অর্ডারতো দূরের কথা আশানুরূপ ফুল বিক্রি হওয়া নিয়ে সন্দিহান তারা। তাদেরকে যেন হতাশা ঘিরে ধরেছে।
তবে ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিভিন্ন ফুলের দোকানগুলোতে নেয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি। অনেক বেশি ফুলের অর্ডার দেয়া হয়েছে ফুলচাষীদের কাছে।
খাগড়াছড়ির ফুল ব্যাবসায়ী মো: জসিম উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি প্রতি বছরের মতো এবছরও ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুল সংগ্রহ থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে হরতাল-অবরোধে তার ফুল বিক্রি হবে কিনা তা নিয়ে হতাশায় আছেন তিনি।
একাধিক ফুল ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে তাদের ফুল বিক্রির যে লক্ষ্য থাকে এবার তা অর্জন নাও হতে পারে। তাদের আশঙ্কা হরতাল-অবরোধে ভেস্তে যেতে পারে ভালোবাসা দিবসের সব আয়োজন। আর এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাহাড়ের ফুল ব্যবসায়ীরা।