হাতির তান্ডবে বন বিভাগের ৫০ হাজার নার্সারী চারা লন্ডভন্ড


কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন ফুলছড়ি বন বিটের পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে ফসল, ঘরবাড়ি ভাংচুর ও বন বিভাগের ৫০ হাজার নার্সারী চারাগাছ লন্ডভন্ড করে নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সন্ধ্যার পরে ওই এলাকা এড়িয়ে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে বন বিভাগ।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে বন্য হাতির দল চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী নয়াপাড়া, ঈদগাঁও উপজেলার ফুলছড়ি, নাপিতখালী বন বিটে দিনের বেলায় গহীন পাহাড়ে অবস্থান করে, আর সন্ধ্যা হলেই খাবারের খোঁজে নেমে আসে লোকালয়ে। তাই সন্ধ্যার পর ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বন বিভাগ। বন্য হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকার চাষিদের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফুলছড়ি রেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে ফুলছড়ি বিটের পূর্ব নয়াপাড়া নামক এলাকায় হাতির তান্ডবে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের পরিচালন ব্যয় খাতের নার্সারির উত্তোলিত প্রায় ৫০ হাজার চারা উপড়ে ফেলেছে বন্যহাতির দল। ভাংচুর করা হয়েছে নার্সারীর ঘেরাবেড়া। এসব চারা আগামী অর্থ বছরের ২০ হেক্টর দ্রুত বর্ধনশীল বাগানের জন্য উত্তোলন করা হয়েছিল বলে জানান বিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরী।
স্থানীয়দের দাবি, নিত্যদিন কোথাও না কোথাও বন্য হাতি লোকালয়ে এসে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বন বিভাগের নার্সারি ও দীর্ঘমেয়াদি মিশ্র বাগানেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে। দিনে গহীন জঙ্গলে থাকলেও রাতে লোকালয়ে চলে আসার ভয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন যাবত বন্য হাতির দল পাহাড়ি এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসলেও অত্যাচার বন্ধে সরকারিভাবে আজও কোকো প্রকার স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান বলেন, বন্য হাতির দল ফুলছড়ি বনে অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে তাণ্ডব চালিয়ে ফুলছড়ি বন বিটের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের পরিচালন ব্যয় খাতের নার্সারির উত্তোলিত প্রায় ৫০ হাজার চারা উপড়ে ফেলেছে। এমনকি দীর্ঘ মেয়াদি বাগানের বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে নষ্ট করেছে। সন্ধ্যা হলেই হাতিগুলো লোকালয়ে চলে আসে। এতে করে চলাচলের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই সন্ধ্যা হলে ওই সব এলাকা এড়িয়ে চলাচল করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়েছে।