ফলোআপ

হাত জোড় করছি, প্লিজ, ফিরিয়ে দিন আমাদের সন্তানদের : ভারতী চাকমা

fec-image

অপহৃত চবি’র নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমার মা ভারতী চাকমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সন্তানকে ফেরত চেয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ভারতী চাকমা লিখেছেন- “প্লিজ কারো মায়ের বুক খালি না করে দোষ থাকলে উপযুক্ত শাস্তি দিন, তবুও সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারো বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন আমাদের সন্তানদের।

তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জন। এ নিয়ে পরিবারে উদ্বেগ বাড়ছে। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল জানান, অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চলছে। সে সাথে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্ত জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৈসাবি উৎসব শেষে ফেরার পথে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য চবি শাখার রিশান চাকমাসহ ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। রিশান চাকমা চবি’র আন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী। অপর অপহৃতরা হচ্ছে, চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা,নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ,প্রাণী বিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো ও চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা। এরা প্রত্যেককে বিশ^বিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি’র) সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা এক বিবৃতিতে রিশান চাকমাকে তাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য দাবী করে বলেন, তারা গতকাল (মঙ্গলবার) রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সৈবাবি উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসে টিকেট না পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিল।

সকাল ৭টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্ত গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। এই ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফ(প্রসীত ) কে দায়ী করেন তিনি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।

 

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন