parbattanews

‘হানা শামস ব্যক্তিগত সফরের নামে বান্দরবানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করায় স্থানীয় জনগনই তাকে প্রতিহত করেছে’

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

‘গত ২৫ আগস্ট বান্দরবানে ব্যক্তিগত সফরের নামে বিতর্কিত সিএইচটি কমিশনের সমন্বয়কারী মিসেস হানা শামস সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করায় স্থানীয় জনগনই তাকে প্রতিহত করেছে। ভবিষ্যতে রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান সফরকালে কোনরূপ সাম্প্রদায়িক উসকানী দেওয়ার চেষ্টা করা হলে সমঅধিকার আন্দোলন সহ সকল সংগঠন মিলে এই ভূয়া সিএইচটি কমিশনকে প্রতিহত করবে। কাজেই নিরপেক্ষভাবে পাহাড়ে বসবাসরত সকল উপজাতি ও বাংলাভাষী জনগনের মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা হলেই তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মনিরুজ্জামান মনির এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা সমঅধিকার আন্দোলনের নেতা সেলিম চৌধুরী, মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, হাজী মোঃ ইউনুস কমিশনার, মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা মশিউল আলম হুমায়ুন শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ৫০৯৩ বর্গমাইল ভূমির মালিক ও বাংলাদেশের জনগনই। দেশের এই এক দশমাংশ ভূমির উপর ব্রিটিশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানের কোন অধিকার নাই । কিন্তু কতিপয় উপজাতীয় নেতা জুম্মল্যান্ড নামে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে স্বাধীনতার পর থেকেই সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। বিগত ২ যুগে পাহাড়ে ৩৫ হাজার বাঙালি হত্যা, বহু সেনা-পুলিশ-বিডিআর আনসার হত্যাসহ বর্বর হানাদার খুনী শান্তিবাহিনীর অত্যাচারে কোটি কোটি টাকার সম্পদ আমরা হারিয়েছি। ২রা ডিসেম্বর ১৯৯৭ইং শান্তিচুক্তির লাইসেন্স পেয়ে রাষ্ট্রবিরোধী এই চক্রটি আরো বেশি তৎপর হয়েছে।’’

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- “বান্দরবনে ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে হানা শামস স্থানীয় সাম্প্রদায়িক উসকানী দাতা সাধুরাম ত্রিপুরা, কে এস মং, উসালা বনভ্রান্তে, বৌদ্ধজুতি চাকমাসহ কতিপয় উপজাতীয় নেতা ও জেএসএস, ইউপিডিএফ নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠক করেছেন। পর্যটন করার জন্য কেউ পাহাড়ে ভ্রমণে এলে সমঅধিকার আন্দোলন তাদেরকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু পর্যটকের বেশে বান্দরবানে ঢুকে হানা সামস সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে সেই মৌলিক অধিকারটুকু হারিয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠন। এই সংগঠনটি অবিলম্বে বিতর্কিত দেশবিরোধী এনজিও সিএইচটি কমিশনকে নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবী জানিয়েছে। পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন মনগড়া, বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে এই কমিশনকে তাদের ওয়েব সাইটে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাহাড়ের বাংলাভাষী ও দেশপ্রেমিক উপজাতীয় জনগোষ্টিও তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এবং এই কমিশন নিষিদ্ধের দাবীতে দেশব্যাপী গন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, সরকার বাংলাদেশে কোন ‘আদিবাসী’ নেই এবং ‘আদিবাসী’ শব্দটি পরিহার করে উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি শব্দটি সর্বত্র ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও তথাকথিত সিএইচটি কমিশন এই অনুরোধ বরাবর অমান্য করে চলেছে। তাই একে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হচ্ছে।

Exit mobile version