হালদার উজানে মানিকছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জরিমানা ও ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

fec-image

এশিয়া মহাদেশের একমাত্র নিরাপদ জোন হালদা নদীর উজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের গোপন খবরে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস‘সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সংশ্লিষ্টদের।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের হালদা নদী এশিয়া মহাদেশের একমাত্র মাছ উৎপাদনের নিরাপদ জোন। আর এ নদীর উৎপত্তিস্থল পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের একটি ঝর্ণা।

এটি রামগড় থেকে মানিকছড়ি উপজেলা বিশাল এলাকা বয়ে ফটিকছড়ি-নাজিরহাট-হাটহাজারী-রাউজান হয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে গিয়ে মিশেছে।

এ নদীর বিভিন্ন অংশে দীর্ঘদিন বালু উত্তোলনের ফলে অবাধে মাছ চলাচল ও বংশবৃদ্ধিতে মারাক্তক বাধা সৃষ্টি হওয়ায় সম্প্রতি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কশিমনারের সুপারিশে হালদা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নদীর উজানে মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা এলাকায় বিগত বছরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক বালু মহাল ইজারা দিলেও এ বছর(বাংলা সন) সেখানে বালু মহাল ইজারা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। ফলে বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১৯ জুলাই) গোপন সূত্রে প্রশাসন জানতে পারে যোগ্যাছোলার কালাপানি এলাকায় হালদা খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আসমা পুলিশ নিয়ে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তিনি একটি ড্রেজার মেশিনসহ বহু পাইপ জব্দ করে তা আগুন দিয়ে(জ্বালিয়ে) ধ্বংস করে দেন।

পরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এ জনৈক মো. জামাল উদ্দীন পাটোয়ারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন।

রিফাত আসমা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সরকারি ইজারা পয়েন্ট ব্যতিত কেউ অন্য কোন জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করলে প্রশাসন সেখানে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন