parbattanews

হালদার উজান মানিকছড়িতে তামাকের বদলে মিশ্র চাষাবাদে ঝুঁকছে কৃষিজীবীরা

হালদা নদীর উজানস্থল মানিকছড়ি বিভিন্ন অংশ বিগত সময়ে নদী চরের কৃষিজীবীরা তামাক চাষাবাদ করলেও সম্প্রতিকালে আইডিএফের চলমান প্রশিক্ষণে পাল্টে যাচ্ছে কৃষিজীবী মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। এখানে সেখানে প্রশিক্ষিত কৃষকরা পুরোদমে চাষাবাদ করতে শুরু করছে পুষ্টি গুনে ভরা ড্রাগন, আম, পেয়ারা, শরিফা, বাতাবি লেবু, পেয়ারা, কাঁঠাল, পেঁপে, রামবুটানও শাক-সবজিসহ মিশ্র ফল-ফলাদির চাষাবাদ। পাল্টে যাচ্ছে হালদা পাড়ের পরিবেশ।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নে হালদা নদীর উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে হালদা পাড়ের তামাক চাষী কৃষক পরিবারকে বিকল্প জীবিকায়নে সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়তা ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় কাজ করছে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন( আইডিএফ)। কৃষি নির্ভর ও উর্বর জনপদে তামাক চাষ বিকল্প চাষাবাদে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণে অব্যাহত রয়েছে।

২২ অক্টোবর হালদা পাড়ের অর্ধশতাধিক কৃষক নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী কর্মশালা। তামাক চাষের বিকল্প হিসেবে মিশ্র বনজ, ফলদ ও শাক-সবজি চাষাবাদে পল্লী কর্ম-সহায়তা ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ) এখানকার চাষীদের বিকল্প জীবিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা মৎস্য ও কৃষি অফিস চাষীদের ভাগ্যোন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নিয়ে জনপদে নেমেছে।

আইডিএফ এর হালদা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সজীব হোসেন জানান, সরকার হালাদাকে রক্ষায় বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। হালদা নদীর সুপেয় পানি দুষণমুক্ত রাখতে এর উজানে তামাক চাষ বন্ধ করে বিকল্প চাষাবাদে চাষীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। উপজেলার যোগ্যাছোলা, গোরখানা, তুলাবিল, ছদুরখীল এলাকার অর্ধশতাধিক চাষীকে নিয়ে ২২ অক্টোবর দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে শতাধিক চাষীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে শরিফা ফলের চারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সজীব হোসেন, জুনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম ও জুনিয়র কৃষি কর্মকর্তা থুই অং প্রু মারমা।

এছাড়া ইতোপূর্বে সেখানে প্রশিক্ষিত কৃষকরা ড্রাগন, আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, পেঁপে, রামবুটান, বাতাবি লেবু, শাক-সবজিসহ মিশ্র ফল-ফলাদির চাষাবাদ শুরু করেছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে হালদা পাড়ের পরিবেশ। হালদায় ফিরছে স্বস্তিকর পরিবেশ।

Exit mobile version